পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिंभांल 2ܠ ܘ ܝ গেল না ; কিন্তু স্বীকার কে, "ক্ত লজ্জা নেই, আমার মনে বিলক্ষণ ভয়ের সঞ্চার হোচ্ছিল । সংসারের বন্ধন কাটিয়েছি, সন্ন্যাস অবলম্বন করা গেছে, পৃথিবীতে সুখ নেই, । বং বেঁচে থাকবার যে কিছু প্ৰলোভন তা ও দূর হেয়েছে, কিন্তু তবুও জীবনের মায়া বিসর্জন দিতে পারি নি। যু? কোন কাজ নেই, সেও জীবনটাকে মূল্যবান মনে করে। জীবন বিসজ্জন দেওয়া সহজ বোলে মুখেই যত আস্ফালন করি না কেন, যখন বিপদের মেঘ চারিদিকে ঘন হোয়ে আসে এবং সংসারের উন্মত্ত তরঙ্গ ফেনিল হোয়ে উঠে, তখন আমরা নিরাশ্রয় হাত দুখানি কৃতাঞ্জলিবদ্ধ কোত্ত্বে ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি, তখন আমরা বুঝতে পারি, আমরা শুধু কাপুরুষ নই, ভগবানের চিরমঙ্গল ইচ্ছার উপর নির্ভর কোত্তেও আমরা অশক্ত। আমরা দুৰ্ব্বল এবং বিশ্বাসহীন। অনেকক্ষণ পরে একটা চড়াইয়ের উপর উঠা গেল, তখন নিৰ্ভয় হলুম, কারণ আর সেটা নদী গৰ্ভ হোতে পারে না। পাহাড়ের উপরে উঠে অনেক অনুসন্ধানেও ব্যাসগুহার কোন সন্ধান পাওয়া গেল না । চারিদিক তন্ন তন্ন কোরে খুজতে লাগিলুম, কি স্ক কোথাও গুহার নামও নেই ; (১াট ছোট দু একটা গুহা থাকলেও তা বরফে ঢাকা । পাহাড়ের পর পা ঠু, শৃঙ্গের পর শৃঙ্গ, এই রকম বহুদূর চলে গেছে। অনেক অনুসন্ধানের পর একটা উচু জায়গা দেখা গেল ; পাহাড়ের অনেকখানি জায়গা ঘুরে বহু কষ্টে সেই উচু যায়গাটাতে উঠলুম। স্বামীজী শুনেছিলেন, বরফাচ্ছন্ন পৰ্ব্বতের মধ্যে ব্যাস গুহার সম্মুখে কিছুমাত্র বরফ নেই, সে জায়গাটা শৈবালদলে সমাচ্ছন্ন। এই স্থানে উপস্থিত হব। মাত্র সেই দৃশ্য আমাদের চোখে পড়ে গেল, সুতরাং আমরা সহজেই বুঝতে পালুম, এ জায়গাটাই ব্যাসগুহার সম্মুখভাগ। এই ভয়, উদ্বেগ এবং পরিশ্রমের পর আমাদের আকাঙ্ক্ষিত বস্তু আবিষ্কৃত হোলে দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দ বোধ কলুম। বাঙ্গালীর ছেলে লিভিং ষ্টোন ষ্ট্যােনলের মত বিপদসংস্কুল অনাবিষ্কৃত দেশ আবিষ্কার কারন এবং জীবনে।6