পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. विश्रांश SY বং এ হিন্দিভাষীর দেশে থেকে ভাষার ভালমন্দ বুঝবার একটু ক্ষমতা ঠায়েছিল। বহুদূরদেশ প্রবাসী-একজন হিন্দুস্থানী ব্ৰাহ্মণের জন্য মহারাজ বাহাদুরের এরূপ যত্ন প্ৰশংসনীয়। জ্যোতিষী মহাশয়ের শরীর ভাল নয়, –তাই মহারাজ তাকে দেশভ্রমণ ত্যাগ কোরে শীঘ্ৰ দেশে, অথবা কলিকাতায় পি এ্যাগমনের জন্য বার বার অনুরোধ কোরে পত্র লিখেছেন। জ্যোতিষী মশায় আমাকে জিজ্ঞাসা কোল্লেন, তামার সঙ্গে মহারাজের আলাপ আছে কি না। মহারাজের অনেক মহ২ গুণের কথা ও আমাকে বোল্লেন, তিনি দুধ অনেক বড় বড় রাজা ও মহারাজ। অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ তাও দুচারটি উদ|- হরণ দিয়ে প্ৰমাণ কোলেন । প্ৰশংসাভাজন লোকের প্রশংসা করাই কি দ্ৰব্য, কিন্তু আমার সর্বাপেক্ষা অধিক আনন্দের বিষয় এই যে কতকগুলি বিদেশী লোক একত্র হোয়ে এই সুদূরবত্তী হিমালয়ের অন্তরালে আমার একজন স্বদেশী এবং স্বজাতির এমন প্ৰশংসা কোল্লেন । স্বজাতির সমস্ত লোকের মধ্যে পরস্পর যে একটা হৃদয়ের গভীর টান আছে, সে দিন তা আমি বেশ বুঝেছিলুম ; বুঝি শত লক্ষ বাঙ্গালীর মধ্যে দাড়িয়ে বাঙ্গালীর প্রশংসা শুনলে মনে এমন আনন্দের সঞ্চার হোতে না ; কিন্তু এখানে বাঙ্গালী আমি একা—স্বদেশ আমার বহু পশ্চাতে—সেই প্ৰাতঃসূৰ্য্যের ‘স্বপ্ন মধুর কিরণোঙ্খল আমার মাতৃভূমি, সেই নদীমেখলা শস্যশ্যামলা বঙ্গদশ-আমার মা বাবা ভাই বোনের পবিত্ৰ স্মৃতিভূষিত,চিরবাঞ্ছিত ভূস্বৰ্গ, আমার তৃষিত হৃদয়ের একমাত্র আকাজক্ষার ধন । এখানে প্ৰত্যেক বাঙ্গালীর স্মৃতিই আমার কাছে পরম আদরের বস্তু। আমার বোধ হোতে লাগলো জ্যোতিষী মহাশয়ের নিকট আমার একজন প্ৰিয়তম পরমাত্মীরের গল্প শুনছি। জ্যোতিষী মহাশয়ের একটা বাহাদুরী এই যে, তিনি গল্প কোরে কখন ক্লাস্ত হন না ; ছেলেবেলাঘ বর্ষাকালে কতদিন সন্ধ্যাবেলা ঘরের মধ্যে মাগুর বিছিয়ে শুয়েছি, আর স্তিমিত প্ৰদীপের কাছে বোসে পিসিমা তার