পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্রাম R

  • ভাই আর যে তোমার সঙ্গে দেখা হবে এ আশা ছিল না” -- সেই সরল সাধুকে পেয়ে আমার বড়ই আনন্দ হােলো। আজ আমার মনের অবস্থা অতি খারাপ, এ অবস্থায় আমার সমধৰ্ম্মী একজন স্বদেশী লাভ বিধাতার বিশেষ অনুগ্রহ বোলে মনে হােলে! সাধুকে সঙ্গে নিয়ে আড়ার দিকে চোল্লাম ; তার সঙ্গে খান দুই পুথি, একটা কমণ্ডলু, আর একখানি ছোড়া কঙ্গল । তার তখনও আহারাদি হয় নি। আমি বাজার হোতে তাকে খাদ্য সামগ্রী কিনে দিতে চাইলুম, কিন্তু তিনি তাতে নিষেধ কোল্লেন, বোল্লেন সঙ্গীদের কারও খাওয়া দাওয়া হয় নি, এ অবস্থায় তার আহাৱাদি শেষ করা নিয়ম-বহিভূত। কোন দিনই বেলা চারিটিার আগে তঁাতার আহার হয় না, কারণ দলে লোক অনেক, তার উপর গ্রন্থ সাহেবের পূজা আছে, পূজা ও ভোগের পর ইহাব আগে অতিথি অভ্যাগতদিগের আহার করায় পরে নিজেদের বা বস্থা ।

আমরা ঘুরতে ঘুরতে বেল। তিনটার সময় বাসায় ফিরে এলুম। স্বামীজি ও শ্ৰীমান অচ্যুতানন্দ বাসাতেই ছিলেন। আমরা চারিজিন গল্প আরম্ভ কোলাম। কিন্তু সংসারে অবিমিশ্ৰ সুখ কোথায় ? গল্পের আরম্ভেই আচাত ভায়া আগন্তুক সাধুর সঙ্গে তর্ক করবার এক বিপুল আয়োজন কোরে স্বাসলেন । সাধুটির তখনো আহার হয় নাই এবং পথশ্রমে তিনি নিতান্ত ক্লান্ত সুতরাং তিনি তর্কের সুবিধা সত্ত্বেও তাঁহাতে মনোযোগ দিলেন না। বেল' প্রায় চারটি বাজে দেখে আগন্তুক সাধু উঠে গেলেন, বোল্লে শীঘ্রই আবার ফিরে আসবেন ; আসন্ন তর্কের আশা বিলুপ্ত হওয়াতে বৈদ্যাস্তিক নিরুৎসাহ চিত্তে নিশ্চলদাসের বেদান্তদর্শন খুলে বোসলেন। আমি দেখলুম, বেচারা নিতান্ত অসুবিধায় পেড়েছে, অতএব প্রস্তাব কলুম, “এস এই তীৰ্থস্থানে বোসে আমরা একটু শ্যাঙ্গালোচনা করি।” এই রকম শাস্কালোচনা যে তর্কযুদ্ধের ভূমিকা, তা স্বামীজির বুঝতে বাকী রছিল না। তিনি বোল্লেন, “তোমরা বাপু শাস্ত্র চর্চা কর, আমি একটু বাহিরে যাই।” স্বামীজি ।