७2:डादćन्म RR 9 চরদিনের জন্য বদরিকাশ্ৰম ছাড়বার পূর্বে সুন্দর সােথ, ঘাট, পরিচিত অপরিচিত প্ৰত্যেক লোকের বাড়ী-তুষারাচ্ছন্ন বঙ্কিম গিরিনদী-উদ্ধে অগণ্য তুঙ্গশূঙ্গ ; এবং পর্বতের মধ্য দেশে সমুন্নত সুন্দর বৃক্ষ রাজী দেখতে দেখতে অগ্রসর হলুম। অনেকখানি বেলা হোলে আমরা হনুমান চটিতে উপস্থিত হোষ্মে জলযোগের যোগাড়ে মনোনিবেশ কোল্লাম। অধিক বিলম্ব হোলে না—প্ৰায় ঘণ্টা খানেক পরে আবার চোলাতে আরম্ভ করা গেল । প্রায় আধ মাইল যাবার পর পথিমধ্যে দেখি-একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোক আমাদের দিকে আসচেন। পোষাক আধা সন্ন্যাসী আধা গৃহস্থ রকমের । গৈরিক বসন, অথচ পায়ে জুতো, মাথায় ছাতা আছে ; বর্ণ গেীর, চেহারা দেখে মনে হোলো ভদ্রলোকটি সন্ত্রান্তবংশোদ্ভব ; বয়স ৪ e ||৪২ বৎসর হবে। আমি ও স্বামীজি একত্রেই চলছিলুম, --পথিক স্বামীজিকে দেখে “নমস্কার মশায়া” বোলে অভিবাদন কোলেন। স্বামী জী। কিন্তু তাকে চিনতে না পারায় তিনি বোল্লেন, “মশায় আমাকে চিনতে পাচ্ছেন না, আপনার সঙ্গে সেই আমার বম্বে কংগ্রেসে দেখা ?” স্বামীজী তথাপি তাকে চিনতে না পারায় কিছু বেশী সংস্কৃচিত হোয়ে পোড়লেন। পথিক বদরিকাশ্ৰম সম্বন্ধে দুই চারিটি। জ্ঞাতব্য কথা জিজ্ঞাসা কোরে চোলে গেলেন, নিজের কোন পরিচয়ই দিলেন না। তার পরিচয় জানিবার জন্যে আমার ভারি কৌতুহল হয়েছিল, কিন্তু স্বামীজিকে নীরব দেখে আমার কোন কথা জিজ্ঞাসা কোর্তে সাহস হোল না ; কারণ এপর্য্যন্ত তঁর যা কিছু আলাপ তা স্বামীজর সঙ্গেই হোচ্ছিল, আমি মধ্যে হোতে দু কথা জিজ্ঞাসা কোরে কেন নিজের বর্বরতার পরিচয় দিই । লোকটি বদরিকাশ্রমের উদ্দেশে চোলে গেলেন । আমরা ও গন্তব্য পথে চালুম। স্বামীজি বার বার বোলতে লাগলেন, আমি যেন পাণ্ডুকেশ্বর হোতে বিষ্ণুপ্রিয়াগ পৰ্য্যন্ত ভয়ানক রাস্তাটা খুব আস্তে আস্তে চলি। এদিকে প্রত্যেক কাজে তার উপদেশের বিরুদ্ধাচরণ করা অভ্যাস হো-য় গেলে ও
