পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिभक्रिाध्र 98\ ܓ আশ্ৰয় নেবার জন্যে কত ঝড়বৃষ্টিময়ী অন্ধকার রাত্ৰিতে আমরা ব্যাকুল হোয়ে উঠেছি, তাও সব দিন অদৃষ্টে জুটে ওঠে নি। সেই পর্ণকুটীরে এসে আমরা যে রকম অকাতরে নিদ্রা যৌতুম, তা মনে হলে এখনও কাতর হোয়ে পড়ি। তখন কোন ভাবনা চিন্তা ছিল না, কেমন কোরে যে দিন, পাত হবে, সে কথা ও মনে আসতো না, ভগবানের নাম নিযে সমস্ত দিন ঘুরে দারুণ পথশ্রমে ক্লান্ত হয়ে চটিতে এসে পোড়াতুম, খাওয়া দাওয়া হোক না হোক, কম্বল গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়া যেতো, আর কোথা হোতে হাটের ঘুম, মাঠের ঘুম, জঙ্গলের ঘুম এসে চোকের পাতা আচ্ছন্ন কোরে ফেলতো। রুচিৎ সেই সুখ সুপ্তির মধ্যে বাল্যের নিশ্চিন্ত জীবনের, যৌবনের আবেশপূৰ্ণ সুখ-স্বপ্নের কথা মনে পড়তো ; কখন মনে হোতে, পাঠ্যাবস্থায় কলিকাতার সেই ক্ষুদ্র বাসাবাটীতে একখান সতরঞ্চি বিছানো তক্ত পোষের উপর শুয়ে নবীন পণ্ডিত মহাশয়ের প্রকাণ্ডাকার সটীক রঘুবংশখানাতে, না হয় চামড়া বাধান বিরাটদেহে দু ভলুম ওয়েবষ্টারের ডিক্সনারীতে মাথা রেখে নিদ্রা যাচ্ছি। ও হরি ! জেগে দেখতুম, হিমালয়ের মধ্যে এক ভাঙ্গা চটিতে ছোড়া কম্বল জড়িয়ে দিব্বি আর ; শুয়ে আছি, মাথার নীচে একটা ঘাসের অ্যাটি ! বৈসাদৃশ্যটা বড় কী নয় ভেবে মনে মনে ভারি হাসি আসতো । পাতালগঙ্গা চটিতে ঘর বেশী নেই, যাত্রীর সংখ্যা ও নিতান্ত অল্প ; য’ত্রীর মধ্যে আপাততঃ আমরা তিনটি প্ৰাণী এবং একটা বিপুলকায় পাহাড়ী। আমরা যে ঘরে বাসা নিলুম, সেই ঘরের মধ্যে এক কোণে একটা লোক একখানা কম্বলে মাথা হোতে পা পৰ্যন্ত সৰ্ব্বশরীর জড়িয়ে পোড়ে রয়েছে দেখলুম। মনে হোলো হয় ত কোন পথশ্ৰান্ত সন্ন্যাসী এই নিৰ্জন কুটীরে সাধন ভজনের পরিবৰ্ত্তে নিদ্রাদেবীর উপাসনা কোচ্ছেন। আমরা ঘরের মধ্যে সোরগোল কল্লেই বিরক্ত হোয়ে তিনি হুহুঙ্কারে উঠে বোসবেন । বাস্তবিক আমাদের কথাবাৰ্ত্তায় লোকটা উঠে