পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 श्छ्भिांव्जग्न জমাদার সাহেব তখন নিশ্চিন্ত মনে গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত ; দোকানদারের কেহ কেহ দ্বার প্রাস্তে বসে হুজুরের নিদ্রাভঙ্গের প্রতীক্ষা কচ্ছে । আমরা কি করি, তাই ভাবতে লাগালুম। স্বামীজী বলেন, জমাদার সাহেবকে বলে চলে যাওয়াই ভাল ; কিন্তু কে সে ভারটা গ্ৰহণ কৰূবে ? একটি গুছিয়ে কথাগুলো বলা চাই, এবং আবশ্যক হলে ভয় দেখান ও কৰ্ত্তব্য হবে। এই রকম অ•িনয়ে আমি অপেক্ষ। স্বামীজী পঢ়ি নহেন, সুতরাং আমি এ দৌত্য-কাৰ্য্য গ্রহণে সম্মত হলুম। জমাদার সাহেবের আড়ায় হাজির হয়ে দে পলুম, সাহেব ঘোরতর নাসিকাগজ্জন কোরে নিদ্র। যাচ্ছেন ; কনেষ্টবলের নিকটেই বসে আছে । আমি একজন কনেষ্টবলকে বল্লম যে, প্রভুকে একবার জাগান দরকারবিশেষ কাজ আছে । কনেষ্টবলের কাণে বোধ করি এ রকম অদ্ভুত কথা আর কখনও প্রবেশ করে নি ; ঘুমন্ত জমাদারকে জাগান, আর স্বামন্ত বাঘের গায়ে খোচা মারা, এ তারা একই রকম দুঃসাহসের কাজ বলে মনে করে, সুতরাং অবাক হয়ে আমার দিকে তার কয়ে রইল। আমিও নাছোড়বান্দা ; পুনৰ্ব্বার তাকে এ কথা বা না হলো, এবার কনেষ্টবল সাহেব ভ্ৰকুটিভঙ্গে আমার দিকে চাইলে, ছ হুজুরের নিদ্ৰাভঙ্গ হয়, এই ভয়ে হুঙ্কার দিয়ে উঠতে পাল্লে না। আমি দেখা লুম, এ এক বিষম সমস্য। শেষে খুব চেচিয়ে কওঁ| কাইতে লাগলুম, অভিপ্ৰায় আমার গলার আওয়াজে জমাদার সাহেবের নিদ্রাভঙ্গ হোক । ফলেও তাই হলো ; আমার কণ্ঠস্বরে প্রভূর নিদ্রাভঙ্গ হলে তিনি চক্ষু রক্তবর্ণ করে বল্লেন “কোন চিল্লাতা হায় ?" সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসলেন। সম্মুখেই আমাকে দেখে ভারি গরম হয়ে কর্কশাস্বরে জিজ্ঞাসা কবুলেন “ক্যা মাঙ্গতা ?” অনেক দিন এ দেশে থেকে পুলিশের লোকের চরিত্র সম্বন্ধে আমাৰ অনেকখানি অভিজ্ঞতা জন্মেছে। এরা প্রবলের কাছে মেষশাবক, কিন্তু দুৰ্ব্বলের বাঘ! সুতরাং জমাদার সাহেব ‘ক্যা মাঙ্গতা