পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যাবৰ্ত্তন। ' २१७ মনে আনতে পাল্লাম না। বড়ই ইচ্ছা হোলো বৈষ্ণবের সঙ্গে আবার । নারায়ণের পথে চোলে যাই ; সেখানে গিয়ে শেষে যা হয় একটা ব্যবস্থা করা যাবে। যে কথা! সেই কাজ ; আমি তখনই কম্বল কঁাধে কোরে বার হবার উদ্যোগ কোচ্ছি। দেখে স্বামীজি নিষেধ কোল্লেন, এত রৌদ্রে বাহির হোয়ে কাজ নেই। আমি তাকে জানিয়ে দিলুম যে, আমি আবার নারায়ণের পথে যাচ্ছি ; নিচে ফিরে যাওয়ার মত পরিবর্তন হোয়েছে। স্বামীজি শুনে একেবারে অবান্ধ। সত্যসত্যই স্থা কোরে আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন ; দেখে যেন বোধ হোলো, হয় তিনি আমার কথা মোটেই বুঝতে পারেন নি, আর না হয় তিনি আমার মস্তিষ্ক বিকৃতির কথা ভাব ছেন। আমি তাকে এই অবস্থায় দেখে নিজেই নীরবতা ভঙ্গ কোরে দিলুম' } “ত হোলে আসি।” এই বোলৈ আমি যখন পা বাড়িয়েছি, তখন সেই সন্ন্যাসী, সেই সংসার ত্যাগী সর্দ ত্যাগী সাধু এসে একেবারে দুই হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধোবুলেন ; সেই শীর্ণ দুৰ্বল দুই খানি হাতের বাধন দিয়ে আমাকে আটকিয়ে রাখবেন বোলে মনে কোৰূলেন । শুধু তাই নয়, নিৰ্বাক সন্ন্যাসী দুই চারি বিন্দু চখের জল ফেললেন। হামু কপট সন্ন্যাসী, হায়ু ভণ্ড সাধু, আজ তুমি এই বাহুবন্ধনে ও চখের জলে ধরা পোড়েছ। তোমার গৈরিকবসন, দণ্ড কমণ্ডলু ও তোমার এই কষ্ট স্বীকার, এত সাধন ভজন, সব মিথ্যা ; তুমি ঘোর সংসারী ; তুমি এক সংসার ছেড়ে এসে আর এক সংসারে পোড়েছ। তুমি ভগবানের দ্বারে পৌছিতে পারুছ না। এত যার স্নেহ মমতা, এত যার মানুষের উপর টান সে ভগবানকে ডাকে কি কোরে ! আমি সন্ন্যাসীর সে বাহুবন্ধনে মহা বিপন্ন হোয়ে পোড়লুম, তার চখের জল দেখে আমার সব ঘুরে গেল । আমি আর কথাবাৰ্ত্তা না বােলে সেখানে বােসে পােড়লুম। স্বামীজি ও আমার কাছে বােসে সস্নেহে আমার দীর্ঘকেশ রূক্ষ মস্তকে হাত বুলাতে লাগলেন। আমার আর নারায়ণের পথে যাওয়া হোল না ; কিন্তু