পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R r 8 হিমালয় না। আমার সঙ্গে একখানি গানের বই ছিল, সেই বই খানি যখন ভাল কোরে বঁাধান হয়, সেই সময়ে তাতে কতকগুলি সাদা কাগজ জুড়ে রাখি ; উদ্দেশ্য নূতন নূতন গান পেলে সেখানে লিখব। যখন নারায়ণের পথে যাই সে সময়ে সেই খাতায় সাদা কাগজ দেখে স্বামীজি আমাকে কিছু কিছু লিখে রাখতে বলেন এবং তঁৱেই আদেশে আমি যে দিন যেখানে যা দেখেছিলুম তা লিখে রাখি। কিন্তু প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের পথে শ্ৰীনগর অবধি এসে আর আমার লেখবার তেমন ইচ্ছা হোলো না। আসল কথা এই যে, যতই আমি লোকালয়ের দিকে নেমে আসছিলুম ততই যেন কেমন কোরে আমার সব গোলমাল হেয়ে যাচ্ছিল, আমার মনের অবস্থা ততই কেমন খারাপ হোচ্ছিল ; এ অবস্থায় কি আর রোজনামচা লিখে রাখবার ইচ্ছা হয়। বিশেষ যে পথে গিয়েছিলুম, সেই পথেই প্ৰত্যাবৰ্ত্তন ; নূতন ব্যাপার, নূতন দৃশ্য কিছুই আমার সম্মুখে পড়ে নি; ডাইরি না লিখবার ইহাও একটী কারণ। শ্ৰীনগর হিমালয়ের মধ্যে হোলেও সেটা লোকালয়। আমরা লোকলয়ে পৌছিয়েছি। শ্ৰীনগরে আমার অনেক বন্ধু, অনেক ছাত্র ‘-ছেন, তাদের সঙ্গে কয়েক দিন কাটিয়ে আমি ফিরে আসি । এখন আমার বিদায় গ্রহণের সময় । হিমালয়ের পরম পবিত্র মহিমা আদি কীৰ্ত্তন কোৰ্বতে পারে নাই ; যেটা যেমন কোরে বােলােল ভাল হোতে, যেটী যে ভাবে বর্ণনা কোবুলে ঠিক কথাটী বলা হোতে, আমার দুৰ্বল লেখনী তাহা বোলতে পারে নি। যে দৃশ্যেরস মুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সর্বপ্রধান শিল্পী নিজের দুর্বল হস্তের অযোগ্যতায় কাতর হোয়ে তুলিকা দূরে নিক্ষেপ করে সেই মহান দৃশ্যের সম্মুখে করযোড়ে দাঁড়িয়ে থেকেই কৃতাৰ্থ হন, আমি সেই হিমালয়ের মহিমা বোলতে গিয়েছিলুম, আমার স্পদ্ধা কম নয়! আর যে রকম কোরে দেখলে ঠিক দেখা হোতে, আমার তা মোটেই হয় নি। আমি শ্মশানের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা বুকে নিয়ে