পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b” হিমালয় ri. ত কোথাও গণেশের এতটা বীর পরাক্রম প্রকাশের কারণ উল্লেখ দেখা যায় না, তবে যদি অন্য কোন পুরাণে এ সম্বন্ধে কিছু থাকে, তা হোলে একটা কথা বটে। কতকগুলি দেবতার চেহারা চক্ষে একটু নূতন ঠেকলো ; তেত্রিশকোটির মধ্য হতে তাদের চিনে নেওয়া আমার মত লোকের পক্ষে বিলক্ষণ কঠিন ব্যাপার । তবে এটা মনে হোলো যে, যদি সেগুলি হিন্দু দেবমূৰ্ত্তি না হয়, তবে নিশ্চয়ই বৌদ্ধ দেবমূৰ্ত্তি হবে, কারণ নেপালীরা যখন এখানে ছিল, তখন তারা যে দুই এক জায়গায় নিজেদের ভাঙ্গর বিদ্যা প্ৰকাশ করে নি, এ কখন সম্ভব নয়। একটা চক এখনো বর্তমান আছে, শুনলুম তার ভিতরে সাপ, বাঘ ও ভালুকের চিরস্থায়ী আড়ড়া হোয়েছে। দেখলুম, তার ফকোরের মধ্যে রাজ্যের পাখী বাসা কোরেছে ; তার ভিতরে দুই একটা ফাটল দিয়ে বড় বড় অশ্বখ গাছ মাথা তুলেছে। এইসমস্ত দেখে শুনে চকের মধ্যে আর প্রবেশ কোৰ্বতে সাহস হোলো না । চকের সম্মুখেই নহবতখানা । এটা এখনো ঠিক আছে, কোন দিক আজু ও ভেঙ্গে পড়ে নি । আমাদের সঙ্গী একটা ছোকর ভিতরে গিয়ে কোন দিক দিয়ে একেবারে নহবতের চুড়ায় উঠে বোস কেলা । শুনা গোল উপরে উঠবার রাস্ত সহজে চিনে নেবার যে নেই . র সে রাস্তা বেশ চেনে তারাই সহজে উপরে উঠতে পারে। আবার তার ভিতরে হারানও নাকি খুব সহজ, কিন্তু তাতেও আমরা উপ-র উঠবার ঝোঁক ছাড়ি নি, শেষ যখন শুনলুম, তার ভিতর বহু জাতীয় সর্পবংশের নিৰ্ব্বিবাদ বংশবৃদ্ধি ও শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন হচ্ছে, তখন আমাদের প্রবল ঝোঁক অবিলম্বে ছেড়ে গেল । বেলা যায় ; সূর্য্যের উজ্জল কিরণ এসে প্রাসাদের ছাদহীন উন্মুক্ত প্ৰাচীরের গায়ে হেলে পড়েছে ; – চোখে বড় খাটুকা লাগলো। এই অতীত কীৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ ও মনুষ গৌরবের অসারতার চিহ্নের উপর অমানিশার গাঢ় অন্ধকার যবনিকাই সম্পর্ণ উপযোগী ।