পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনগর ta তে বারান্দায় গিয়েছিলেন ; আমরা বোসে বোসে ভিতরের দিকে আর একটা খুব জম পালো চক দেখলুম ; সেটা মহান্তের অন্ত:পুর। ই অন্দরে অবশ্য পরিবারাদি কেউ নেই ; সেখানে তঁর শয়নকক্ষ, বা শ্ৰাম কক্ষ ইত্যাদি আছে। অন্যান্য অনেক মহান্তের ন্যায়। কমলেশ্বরের স্থান্তেরাও চিরকুমার থাকেন, মৃত্যুকালে চেলাদের মধ্যে কাকে ৪ স্তরাধিকারী কোরে যান। বর্তমান মহান্তের বয়স পয়ত্ৰিশ ও চল্লিশের ধ্যে বোলে বোধ হোলো ; দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট । কোন মঠের মহাস্তকই ত এ পৰ্যন্ত কাহিল দেখলুম না ; মহাদেব সেবাইত ও ষ ও উভয়েই চরকাল দিব্য সুগোল-দেহ । কথাবাৰ্ত্তায় মহান্তজি মন্দ নন। আমাকে ই একটা কথা জিজ্ঞাসা কল্লেন, বাঙ্গলে দেশ ভাল কি এদেশ ভাল এ ম্বন্ধে আমার মতামত জানতে চাইলেন। তিনি একবার তীর্থভ্ৰমণোপ - ক্ষে কাশীজি গিয়েছিলেন, সেখানে বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে তার দীপা হোয়েছিল, সে কথাও বোলেন। তারপর তিনি নানা রকমের গল্প আরম্ভ কোল্লেন-খোসামুদেরা ও খুব প্ৰতিধ্বনি কোর্তে লাগলো। দেখিসুম, বাবাজীর আধ্যাত্মিকতা ও ভগব ভুক্তি আমাদের চেয়ে বড় জেয়াদা নয়, অন্ততঃ কথাবাৰ্ত্তায় ত এই রকমই বোধ হোলো । যিনি সব ছেড়ে শুধু শ্মশান ও ভস্ম মাত্র সার করেছিলেন, তার সেবাইতের এ রকম বাংলােসপ্ৰিয়ত, এ রকম মোসাহেবের দল এবং এই প্ৰকার রাজভোগ কতটা ন্যায়সঙ্গত, সে বিষয়ের বিচার বাহুল্য। অতুল ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে থেকে মনটা খাটী ও নিলিপ্ত রাখায় বাহাদুরী আছে বটে, কিন্তু মানুষের দুর্বল হৃদয়ের পক্ষে সে কাজটা বোধ হয় বিশেষ শক্তি । চারিদিকের অগণ্য স্তুতিবাদ ও দেশবিদেশ হোতে প্রেরিত বহুমূল্য উপহার সামগ্রীর যথেচ্ছ ব্যবহার, যথাৰ্থ বৈরাগ্যাবলম্বী সন্ন্যাসীর কখনই প্ৰীতিকর নয় । কমলেশ্বরের মহান্তকে দেখে, তঁার সম্বন্ধে এই সমস্ত সমালোচনা আমার মাথায় আসছিল । তিনি কি জানতেন যে, চারিদিক হোতে যখন তার