পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, শ্ৰীনগর পৌছেন নি, সুতরাং পরদিন তার জন্যে শ্ৰীনগরে অপেক্ষা করবো কি না, এই ভাবতে লাগলুম এবং শেষে আর একদিন শ্ৰীনগরে থাকাই স্থির কোলুম ! ১৫ই মে শুক্রবার ; – আজি শ্ৰীনগরে অবস্থিতি । সকালে কি তৃপরে কোথাও বের হই নি ; বিকেলে নদী পার হোয়ে অপর পারে পাহাড়ে বেড়িয়ে এলুম। দর্শনযোগ্য বিশেষ কিছু নেই, দু তিনটে ভগ্নপ্রায় শিবমন্দির দেখা গেল ! পাহাড়ের উপরেই মন্দির-খুব প্ৰাচীন ; পাহ ড়ের নাম ইন্দ্ৰাকিল পাহাড় । শ্ৰীনগরের গায়ে যে পাহাড় তার নাম অষ্টাবক্ৰ পৰ্ব্বত। স্থানীয় লোকের মুখে শুনলুম, অষ্টবক্র মুনি এই পৰ্ব্বতে দীর্ঘকাল তপস্যা করেছিলেন । তপস্যার উপযুক্ত স্থান তার আর সন্দেহ নাই, কিন্তু কোথায় অষ্টাবক্র ঠাকুরের আশ্রম বা তপোবন ছিল ভ%। বিশেষ চেষ্টা কোরে জানতে পারি নি। কারও কারও মত এই যে, যেখানে ইংরাজের ‘পাউরী” নগর স্থাপিত করেছেন, সেখানেই অষ্টাবক্ৰ মুনির গুহা ছিল। এখানকার রাজকাৰ্য্য করিবার জন্য একজন “সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট” আছেন ; আমাদের দেশে মাজিষ্টেট কালেক্টার এবং পুলিসের যে কাজ, তা এই সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের হাতে ; এতদ্দুিন্ন। এখানে চারজন ডেপুটী ও চারজন তহসিলদার অর্থাৎ সবডেপুটী আছেন। এ ছাড়া কাঙ্গি বেশী পড়লে সময় সময় বাহিরের লোক ও নেওয়া হয়। অন্যান্য আফিসের মত পাউড়ীতে একটা টেলিগ্ৰাফ আফিসও আছে ; এক কথায় এই সুদূর এবং দুৰ্গম পাহাড়ের মধ্যে ইংরেজ তাদের সুখস্বচ্ছন্দতা ও আরাম বিরামের প্রয়োজন মত যতটুকু দরকার, সব ঠিকঠাক কোরে নিয়ে বেশ নিরুদ্বেগে দিন গুলা কাটিয়ে দিচ্ছেন ।