পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۹ श्भिाव्नश অর্গলবদ্ধ দুতিনখানা পত্ৰকুটীর পোড়ে আছে। এখানে খাওয়া দাওয়া হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, ক্ষুধারও কিছুমাত্র অপ্রতুল নেই। গত দুদিন শ্ৰীনগরে যে সুখে ছিলুম, আজ তার প্রতিশোধ হোলো। নিকটে এমন কোন গ্রাম নেই?যেখান হোতে খাবার যোগাড় কোরে আনি, সুতরাং এ অবস্থায় সকলে স্যা করে আমরাও তাই কল্লাম ; বেশ পরিপূর্ণ রকম উপবাস করা গেল। ঘরে বসে উপবাস করার মধ্যে গুরুত্ব বিশেষ কিছু নেই ; কিন্তু এই পাহাড়ের মধ্যে ৯ মাইল “চড়াই ও উৎরাই” শূন্য পাকস্থলীতে পার স্কোলে শরীরের যে কি দুৰ্দশা হয়,তাহ ভূক্তভোগী ছাড়া আর কারো অনুভব করুবার শক্তি আছে বোলে বোধ হয় না । আমি বৃত না কাতর হই—আমার বোধ হোলো আমার সঙ্গিদ্বয় একটু বেশী কাতর। হেয়েছেন। স্বামীজি বুদ্ধ, তার উপর অল্পাহার ; দীর্ঘকাল অনাহারে তার কাতর হওয়া অবশ্যই সম্ভব ; কিন্তু বৈদান্তিক ভায়া আমার অপেক্ষা ও জোয়ান, তবু তঁার এরকম কাতরতার কারণ বোঝা গেল। না ; বোধ করি, তার পরিপাকশক্তি ভোজনশক্তিরই অনুরূপ । ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের কোনই ধার ধারন না, কেবল এক পেট আহার, ও খানিকটে শুষ্ক নীরস তর্ক পেলেই তিনি খুব পরিতৃপ্ত হন। আমাদের * * ডাল রুটি খাওয়ার পরিবর্তে যদি তিনি যোগী ঋষির মত আমলা ও হর্ভুকী খাওয়া অভ্যাস কোন্ত্রেন, তা হোলে কটা গাছ ফলশূন্য কোর্তে পার্তেন তা আমি অনুমান কোরে উঠতে পারিনে। অনাহারে ভায়ার মেজাজ বড় খিটখিটে হোয়ে উঠলে ; আজ আমার উপর তার রাগটা কিছু বেশী, অবশ্য তার কারণও ছিল ৷ শ্ৰীনগর হোতে বের হবার সময় ভায়া আমাকে পুনঃ পুন: বোলেছিলেন যে, রাস্তায় আর এমন সহাঁর নেই ; এখান হোতেই কিছু খাবার সংগ্ৰহ কোরে যাওয়া উচিত, বিশেষ পথে আজও চটি বসে নি, সুতরাং অনাহারে বড়ই কষ্ট পেতে হবে । সে সময় উদর পূর্ণ বোলেই হোক—কি পুটলি বেঁধে খাবার ঘাড়ে কোরে চলাটা