পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি এক একবার কতকগুলি সুন্দর চুড়ি কুড়িয়ে নিয়ে খানিকটে উপরে পাথরের উপর বসি ; বোসে থেকে তার মধ্যে হোতে সব-ভাল দু তিনটে বেছে রেখে, বাকিগুলো জলে ছুড়ে ফেলে দিই। ; আবার কতকগুলি নিয়ে আসি, এবং তা হোতে দু একটি বেছে নিই। এই রকম কোর্তে কোর্তে ক্ৰমে সন্ধ্যা হয়ে এলো, অথচ সে দিকে আমার খেয়াল নেই ; হঠাৎ উপর হতে স্বামীজির কণ্ঠস্থ { শুনি আমার চৈতন্য হোলো। চেয়ে দেখি, তিনি অপর পারের পাহাড় বেয়ে যেটুকু নীচে নামা যায়, ততটুকু এসে একথানা পাথরের উপর বোসে আমায় ডাকিচেন । আমি তাড়াতাড়ি উঠে রাস্তা ঘুরে ধরমশালায় যেতে বেশ অন্ধকার হোয়ে এলো । স্বামীজি ততক্ষণ বাসায় পৌছেছিলেন । আমি বাসায় প্ৰবেশ করবমাত্র তিনি আমার উপর স্নেহপূর্ণ তিরস্কার বর্ষণ কোর্তে লাগলেন ; তার মৰ্ম্ম এই যে, যদি আমি পথে ঘাটে যেখানে সেখানে এ রকম নিৰিষ্টচিত্ত হোয়ে বোসে থাকি ত, আমাকে বাঘে ভালুকে ফলাহার কোর্তে পারে, কিংবা আমি পাথর চাপা পড়ে ও মরতে পারি । বিশেষতঃ আজ আমার রুগ্নদেহে এতটা উঠ} নামা করা ভাল হয় নি। বৈদান্তিক ভায়ার মুখে শুনলুম, স্বামীজি % আর বৈদান্তিক আমায় বাসায় না দেখে, এখানে এসে ৭ায় এক ঘণ্টা" ধোরে ঐ পাথরের উপর বোসে আমার ছেলে লে। দেখছিলেন । অচ্যুত বাবাজী আমাকে ডাকতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু স্বামীজি ডাকতে দেন নি । আমার রকম দেখে তার মনে অন্য এক প্রকার ভাবের উদ্যু হোয়েছিল ; তাই ভাবে গদগদ হোয়ে বোলেছিলেন, “প্ৰকৃতি মায়ে? কোলে এমনি কোরে সকলেই বালক হোয়ে যায়।” রাত্রিটা আমরা এক রকমে কাটিয়ে দিলুম ; কিন্তু সঙ্গের লোকটার বড় জর এলো । ১৯এ মে, 'মঙ্গলবার। আমাদের শরীর যদিচ অনেকটা দুর্বল ছিল। তবুও আজই এখান হোতে রওনা হব, এ রকম : সঙ্কল্প করেছিলুম। কিন্তু সঙ্গের লোকটার জর হওয়ায় আজও এখানে থাকৃতে হোলো। আ{ে t