পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ መ হিমালয় রাস্তা চলা কষ্টকর বোলে, সকলেই এ পারের সঙ্কীর্ণ পথে চলে ; কারণ, এখান হোতে সাত মাইল তফাতে ‘শিবানন্দী চটী ।” সরকারী লোকজন দু পথেই চলে। এক জায়গায় আজ তিন দিন বোসে থেকে মনটা বড় ভাল নেই। বিকেলে স্বামীজি বোল্লেন, এখন হোতে রাস্ত ক্ৰমেই খারাপ হবে, শুধু পায়ে তার উপর দিয়ে চোলাতে গেলে পা দুখানাকে কিছুতেই আস্ত রাখা যাবে না ; বিশেষতঃ এই দুৰ্গম রাস্তার মধ্যে এক জায়গায় যদি পা জখম হোয়ে পড়ে ত চক্ষু স্থির! সুতরাং এখান হোতে এক এক জোড়া পাহাড়ী জুতে কিনে নেওয়া যাক। আমিই বাজারে জুতো কিনতে গেলুম ; দেখি জুতোর দোকান নেই, একজন মুচি একটা যায়গায় বোসে জুতে মেরামত কোছে, আর তার পাশে দেবকন্যার মত সুন্দরী একটি মেয়ে বোসে আছে ; এমন সুন্দর চেহারা সৰ্ব্বদা আমাদের নজরে পড়ে না । তার যেমন রং, তেমনি সৰ্ব্বাঙ্গের পূর্ণ সৌষ্ঠব। মেয়েটির বয়স পািনর ষোল বছর সতেজ, উন্নতদেহ, তার উপর যৌবনের লাবণ্যে সে সেই জায়গাটা যেন আলো কোরে বোসেছিল । আমি বিহবলনেত্ৰে তার দিকে চেয়ে রইলুম ; এ রকম জায়গায় আমি এ রকম সুন্দরীকে (প ** বার প্রত্যাশ করি নি বোলেই বোধ করি, আমার এত বিস্ময় । তার পর যখন শুনলুম সে মুচীর কন্যা, তখন আর আমার বিস্ময়ের সীমা রইল না। আমি ভাবলুম, মুচির মেয়ে যেখানে এমন, ভদ্রলোকের মেয়েরা সেখানে না জানি, ক'ত সুন্দরী । যা হোক এই মুচিকে জুতোর কথা জিজ্ঞাসা করায় সে বোলে, জুতে তৈয়েরী নেই, তবে আমি যদি খানিক অপেক্ষা করি ত সে জুতে তৈয়েরী কোরে দিতে পারে। খানিক বোসে থাকলে তিন চার জোড় জুতো তৈয়েরী হবে, শুনে আমি অবাক। একটা দোকানে বোসে তার কাণ্ডকারখানা দেখতে লাগলুম। সে আর তার মেয়েতে মিলে