পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓቅ হিমালয় । সকলের অাগে আগে হেঁটে বেলা আটটার সময় ৭ মাইল দূরে “শিবানন চটীতে পৌছিলুম। এইটুকু পথ চোলে এত সকালে এখানে এসে আজি সম ? দিন। এখানে অপেক্ষা করুবার কিছুমাত্র ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু আট মাইলের মধ্যে আর কোন চাচী নেই, আর এঈ পার্বত্য পথ ভেঙ্গে সান মাইল আসতে ৪ পরিশ্রম কি টু কম হয় নি; বিশেষ আমার পীড়িত সঙ্গীগণ এখন পর্যন্ত এ চটীতে এসে পৌছতে পারেন নি ; হয় তা তাদের আরো দু তিন ঘণ্টা দেরী হবে মনে কোরে, শিবানন্দী চটীতেই আশঃ নিলুম । বেলা বেশী হয় নি ; কিন্তু রৌদ্রের তেজ খুব প্রখর । পৰ্ব্বতের পূসর দেহ উদ্ভাসিত কোরে সূৰ্য্যদেব পূৰ্ব্ব গগনের অনেক উৰ্দ্ধে উঠেড়েন এবং তঁাহার উজ্বল প্ৰভায় সমুচ্চ বৃক্ষ রাজি হোতে পথপ্ৰান্তস্থ নিতান্ত ক্ষুদ্র গুল্ম পয্যন্ত ধেন খুব একটা সজীবতা অনুভব কোচ্ছে। আমি পথে একটা গাছের ছায়ায় বোসে চারিদিক চেয়ে দেখতে লাগলুম। আমি যেন এ রাজ্যে একটি মাত্ৰ প্ৰাণী, আর কোথাও জীবজন্তুর সম্পর্ক নেই ; যেন এই নিৰ্জন প্রদেশে দিনের পর দিনগুলি অলসভাবে নিতান্ত বৈচিত্র্যহীন অবস্থায় কেটে যাচ্ছে । এখানে এসে মনে হয়, এ জায়গাগুলি পৃথিবীর নিতা ? ই বিজন নেপথ্য ; মনুষ্যজীবনের দী% আকাজক্ষা, বিপুল চেষ্টার সঙ্গে এদের কিছুমাত্র সম্বন্ধ নেই | ^ ব্যর্থ-মনোরথ হোয়ে কেউ ষে এখানকার পথপ্ৰান্তে আপনার অবসন্ন জীবনের শেষ সীমায় পৌছিয়েছে, কি প্ৰবলবিক্রমে এই দুৰ্ভেদ্য শিলাতলে আপনার গৌরবপতাকা প্রোথিত কোরেছে, এখানে বোসে তা কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না। তবু শিবানন্দী চটাতে মানুষের ক্ষুদ্র হস্তের অনেক কাজ এখনো দৃষ্টিগোচর হয় ; আর এই জন্যেই বোধ হয়, সকল চটী অপেক্ষা শিবানন্দী চটী বেশী মনোরম বোধ হোয়েছিল। যে সময়ে প্ৰাতঃস্মরণীয়া রাণী অহল্যাবাই হরিদ্বার হোতে বদরিকাশ্রমের এই রাস্তা অনেক অর্থব্যয়ে তৈয়েরী কোরে দেন, সেই সময় তিনি এই স্থানের প্রাকৃতিক দৃশ্যে