পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণপ্ৰয়াগপথে ዓች যাচ্চে, আমার তার প্রতি একটু মায়া হোলো—এতদিন এক সঙ্গে থাকা গিয়েছিল ;– আমি তার হাত ধোরে বল্লম, “কত সময় কত অন্যায় কথা বলেছি, আমার জন্যে কত কষ্ট সহ করেছেন, সে জন্যে কিছু মনে কোরুবেন না; আবার কত কালে দেখা হবে ; কখনো দেখা হবে কি না, কে জানে ?” তিনি চোলে যাওয়াতে আমার বডই কষ্ট হোতে লাগলো, কয়দিন এক সঙ্গে দুজনে বেশ সুখে ছিলুম। পথশ্রমের পর অনেকে হাত-পা ছড়িয়ে নি। দ্র। দিয়ে সুখ ও আরাম পান, কিন্তু আমি এই বৈদাস্তিকের সঙ্গে আজগুবি তৰ্ক কোরে পথশ্ৰম দূর কোর্তম । বৈদাস্তিক চোলে গেলে আমরা সেখানেই থাকালুম। সন্ধ্যার সময় আমাদের চাকরীটির জর ছাড়ালে এবং সে বেশ স্বচ্ছন্দ ভাবে উঠে বেড়াতে লাগলো। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় বেশ বুঝতে পাল্লাম যে, পৰ্ব্বতবাসীরা রোগে বিশেষ কাতর হয় না, তবে তাদের জর যে রকম ভয়ানক হয়, তাতে তারা কাতর না হোলে ও আমরা কাতর হই । রাত্রে সে খুব আহার কোরূলে । ২১ এ মে, বৃহস্পতিবার । —সকালে উঠে দেখি,চাকরীটি যাত্রার জন্যে তৈয়েরী হোয়ে বোসে আছে । আমি তাকে বল্লম, তার অসুখ একটু ভাল কোরে না। সারুলে, পথশ্রমে সে মারা পড়বে ; কিন্তু বোধ হয়, তার মনে হোয়েছিল, তারই জন্যে বৈদান্তিক আমাদের ছেড়ে গেলেন, তাই সে যাওয়ার জন্যে কৃতসংকল্প হোলো । অনেকখানি বেলা হোলে। আমরা সেখান হোতে রওনা হোলুম। রাস্ত অপেক্ষাকৃত ভাল, কিন্তু আট মাইলের মধ্যে আর চটী নেই, কাজেই আমরা তাড়াতাড়ি কোরে চলতে লাগলম এবং দুপুরের সময় পিপলচটীতে উপস্থিত হোলুম। একটা বটগাছ আছে, তারই নাম অনুসারে চটীর নাম ‘পিপলচটী ।” - এখানে একটা গবৰ্ণমেণ্টের ধৰ্ম্মশালা আছে, ; কিন্তু পিপলচটীর মত কদৰ্য্য স্থান আর দেখি ; নি । আমরা এখানে এসে দেখলাম, এখানে