যন্ত্রণা ভোগ কত্তে কত্তে চল্লেন—জ্ঞানানন্দ বাবাজীর মুখের কাছে দুজন পেঁড়োর আয়মাদার আকক্ষ লম্বিত শ্বেতশ্মশ্রু সহ বিরাজ করায় রোসুনের খোস্বে জয়দেবের বংশধর যার পর নাই বিরক্ত হয়েছিলেন। মধ্যে মধ্যে আসমাদারের চামরের মত দাড়ি বাতাসে উড়ে জ্ঞানানন্দের মুখে পড়্চে, জ্ঞানানন্দ ঘৃণায় মুখ ফেরাবেন কি? পেছনদিকে দুজন চিনেম্যান হাত রুমালে খানার ভাত ঝুলিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেমানন্দ গাড়িতে প্রবেশ করেছেন বটে, কিন্তু অ্যাখনো পদার্পণ কত্তে পারেন নাই। একটা ধোপার মোটের সঙ্গে ও গাড়ির পেনেলের সঙ্গে তাঁরভুঁড়িটী এমনি ঠ্যেসমেরেগ্যেছে যে গাড়িতে প্রবেশ করে পর্য্যন্ত শূন্যেই রয়েচেন। মধ্যে মধ্যে ভুঁড়ি চড়্ চড়্ কল্লে অ্যাক্ অ্যাক্ বার কারূ কাঁধ কারূ মাথার ওপোর হাত দিয়ে অবলম্বন কত্তে চেষ্টা কচ্ছেন, কিন্তু ওৎ সাব্যস্ত হয়ে উঠ্চে না, তার পাশে অ্যাক্মাগী একটী কচিছ্যেলে নিয়ে দাঁড়িয়েছে, বাবাজী হাত ফ্যালবার পূর্ব্বেই মাগী “বাবাজী কর কি। কর কি। আমার ছেলেটা দেখো” বলে চীৎকার করে উঠছে, অমনি গাড়ির সমুদায় লোক সেই দিকে দৃষ্টিপাত করায় বাবাজী অপ্রস্তুত হয়ে হাত দুটী জড়ো সড়ো করে ধোপার বুচকী ও আপনার ভুঁড়ির উপর লক্ষ্য কচ্ছেন—ঘর্ম্মে সর্ব্বাঙ্গ ভেসে যাচ্ছে। গাড়ির মধ্যে অ্যাক্দল গঙ্গাভক্তি তরঙ্গিণী যাত্রার দল ছিল, তার মধ্যে অ্যাক্টা ফোচ্কে ছোড়া—বাবাজীর ভূঁড়িটা বুঝি ফ্যেঁসে যায় বলে পাপীয়ার ডাক্ ডেকে ওঠায় গাড়ির মধ্যে অ্যাক্টা হাসির গররা পড়ে গ্যাল। প্রভো। তোমার ইচ্ছা
পাতা:হুতোম প্যাঁচার নক্সা-দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
হুতোম।
