হইয়াছেন, আর কি আরাধনাতেই বা দেববরের প্রতিকূলতা ও ক্রূরতা দূরীভূত হইতে পারে।
বীরবরের এই কথা শুনিয়া থেষ্টরের পুত্র মুনীশশ্রেষ্ঠ কাল্কষ্, যিনি ভুত, ভবিষ্যৎ, বর্ত্তমান,—ত্রিকালজ্ঞ ছিলেন, কহিলেন, হে আকিলীস্! হে দেবপ্রিয়রথি! তোমার কি এই ইচ্ছা, যে রবিদেব কি নিমিত্ত তোমাদের প্রতি এত দূর বাম ও বিরক্ত হইয়াছেন, তাহা আমি স্পষ্টরূপে ব্যাখ্যা করি? ভাল, আমি তোমার বাক্যে সম্মত হইলাম। কিন্তু তুমি অগ্রে আমার নিকট এই স্বীকার কর, যে যদ্যপি আমার কথায় রাজ-হৃদয়ে কোন বিরক্তিভাবের উদয় হয়, তবে তুমি সে রাজক্রোধ হইতে আমাকে রক্ষা করিবে।
কাল্কষের এই কথা শুনিয়া মহাবাহু আকিলীস্ উত্তরিলেন, হে কাল্কষ্! তুমি নিঃশঙ্কচিত্তে মনের ভাব ব্যক্ত কর। আমি দেবেন্দ্রপ্রিয় অংশুমালী রবিদেবকে সাক্ষী করিয়া শপথ পূর্ব্বক কহিতেছি, যে এ সভায় এমন ব্যক্তিই নাই, যাহাকে আমি তোমার অবমাননা করিতে দিব। অধিক কি বলিব, সৈন্যাধ্যক্ষপদপ্রতিষ্ঠিত রাজা আগেমেম্ননেরও এতদূর সাহস হইবে না। অতএব তুমি দৈবশক্তি দ্বারা যাহা বিদিত আছ, মুক্তকণ্ঠে ও অভয়ান্তঃকরণে তাহা প্রচার কর।
এই কথায় কাল্কষ্ উত্তর দিলেন, হে বীরবর! ভাস্বর রবিদেব যে কি নিমিত্ত এ সৈন্যের প্রতি এতদূর প্রতিকূলাচরণ করিতেছেন, তাহার নিগূঢ় কারণ বলি, শ্রবণ করুন। যখন তোমরা ক্রূষা নগর লুটিয়াছিলে, তৎকালে রবিদেবের কোন এক পুরোহিতের একটী কন্যা অপহরণ করা হইয়াছিল;