পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
হেক্‌টর বধ।

রে দুষ্ট প্রতারক! তোর কুরসনা আমার হিতার্থে কখন কোন কথাই কহিতে জানে না; আমার অহিত সংবাদ তোর পক্ষে বড় প্রীতিকর। এক্ষণে যদি তোর কথা সত্য হয়, তবে আমি এ কুমারীটিকে মুক্ত করি নাই বলিয়াই রবিদেব এ সৈন্যদলকে এত কষ্টে ফেলিয়াছেন। আমি যে পুরোহিতদত্ত বহুবিধ ধন গ্রহণ করিয়া তাহার কন্যাকে মুক্ত করি নাই, সে কথা অলীক নহে। এ কুমারীটী অতি সুন্দরী, এবং আমার সহধর্ম্মিণী রাণী ক্লুতিম্নিস্তরা অপেক্ষাও আমার সমধিক নয়নানন্দিনী। এ কুমারী রূপ, গুণ, বিদ্যা, বুদ্ধি, কোন অংশেই রাণী অপেক্ষা নিকৃষ্টা নহে; তথাচ আমি ইহাকে এ সৈন্যদলের হিতার্থে পরিত্যাগ করিতে কুণ্ঠিত হইব না। কেননা, আমি লোকপাল, স্বপালিত লোকের হিতার্থে রাজার কি না করা উচিত? কিন্তু, হে বীরবৃন্দ! যদি আমাকে এ কন্যারত্নে বঞ্চিত হইতে হয়, তবে তোমরা আমাকে অপর একটা পারিতোষিক দিতে সযত্ন ও সচেষ্ট হও। কেননা, তোমাদের মধ্যে আমি যে কেবল পারিতোষিকচ্যুত হই, ইহা কোনমতেই যুক্তিযুক্ত নহে।

 রাজার এই বাক্য শ্রবণ করিয়া মহেষ্বাস আকিলীস্‌ সাতিশয় রোষাবেশে কহিলেন, হে আগেমেম্‌নন্! তোমা অপেক্ষা লোভী জন, বোধ হয়, এ বিশ্বে আর দ্বিতীয় নাই! এক্ষণে এ সৈন্যদল কোথা হইতে তোমাকে অন্য কোন পারিতেযিক দিবে? লুটিত দ্রব্য সকল বিভক্ত হইয়া গিয়াছে; এক্ষণে তো আর সাধারণ ধন নাই, যে তাহা হইতে তোমার এ লোভ সম্বরণ হইতে পারে। কিন্তু এক্ষণে তুমি এ কন্যাটীকে বিমুক্ত করিয়া দিলে, এই সকল নেতৃবর্গেরা