পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
হেক্‌টর বধ।

হস্ত তীক্ষ্ণাগ্র শূল দ্বারা বিন্ধন করিলেন, এবং কহিলেন, হে দেবপতি-দুহিতে! তুমি এ রণস্থলে কি নিমিত্ত আসিয়াছিলে? রণরঙ্গ তোমার রঙ্গ নহে। অবলা সরলা বালাকুলকে কুলের বাহির করাই তোমার উপযুক্ত রঙ্গ! অতএব তোমার এ স্থানে আসা ভাল হয় নাই। তুমি এ স্থান হইতে প্রস্থান কর।

 বিষমাঘাতে ব্যথিত হইয়া দেবী পুত্রবরকে ভূতলে নিক্ষেপ করিলে, বিভাবসু রবিদেব বীরেশ এনেশকে অসহায় দেখিয়া তাহার প্রাণ রক্ষার্থে তাহাকে এমত এক ঘন ঘন দ্বারা আবৃত করিলেন, যে কেহই তাহাকে দেখিতে পাইল না এবং কোন দ্রুতগামী অশ্বারোহী গ্রীক আসিয়াও তাহার প্রাণ বিনষ্ট করিতে সমর্থ হইল না। দ্রুতগামিনী দেবদূতী ঈরীশা দেবী অপ্রোদীতীর হস্ত ধারণ করিয়া তাহাকে সৈন্যদলের বাহিরে লইয়া গেলেন। সুর-সুন্দরীর নয়ন-রঞ্জন বর্ণ বিবর্ণ হইয়া উঠিল। রণক্ষেত্রের সন্নিধানে দেবকুল-সেনানী আরেস স্কামন্দর নদ-তীরে আপন অশ্ব ও অস্ত্রজাল মায়াঅন্ধকারে অন্ধকারাবৃত করিয়া স্বয়ং সে সুদেশে বসিয়াছিলেন, ক্ষতার্ত্তা দেবী অপ্রোদীতী ভূতলে জানুদ্বয় নিপাতিত করিয়া দেবসেনানীকে কাতর বচনে কহিলেন; হে ভ্রাতঃ! যদি তুমি তোমার এ ক্লিষ্টা ভগিনীকে তোমার ঐ দ্রুতগতি রথ খানি দাও, তাহা হইলে সে তৎসহকারে অতি ত্বরায় অমরাবতীতে উত্তীর্ণ হইতে পারে। দেখ, নিষ্ঠুর দুর্দ্দান্ত রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদ্‌ শূলাঘাতে আমাকে বিকলা করিয়াছে।

 দেবসেনানী ভগিনীর এতাদৃশী প্রার্থনায় প্রার্থনাদ হইলে, দেবদূতী ঈরীশা তৎক্ষণাৎ আস্তে ব্যস্তে ক্ষতা