পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হেক্‌টর বধ।
৫৭

উন্মত্তা ও পাষাণ-হৃদয়া দুহিতার সৃষ্টি করিয়াছেন। দেবী আথেনীর উৎসাহ সহকারে রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদ্‌ আমার কি দুরবস্থা না করিয়াছে? এই বাক্যে দেবপতি উত্তর করিলেন, রে দুরন্ত নিত্যকলহপ্রিয় দেব কুলাঙ্গার! তুই অন্যের উপর কোন্ মুখ দিয়া অভিযোগ ও দোষারোপ করিস্! তুই তোর গর্ভধারিণী হীরীর খর ও অনমনশীল স্বভাব প্রাপ্ত হইইয়াছিস! সে এত দূর অদমনীয়া, যে আমিও তাহাকে দমন করিতে অক্ষম। সে যাহাহউক, তুই আমার ঔরসজাত, নতুবা আমি উরানুসপুত্র দৈত্যদলের সহিত তোকে এইমুহূর্তেই চিরকালের নিমিত্ত কারাগারে আবদ্ধ করিতাম। এই কহিয়া দেবকুলপতি দেবধন্বন্তরী পায়ন্‌কে যথাবিধি ঔষধে ক্ষত সেনানীকে আরোগ্য করিতে আজ্ঞা দিলেন।

 রণস্থল হইতে দেবসেনানীকে পলায়মান দেখিয়া জননী অতীব বীর্য্যবতী দেবী হীরী মহাবলবতী সহকারিণী দেবী আথেনীর সহিত স্বর্গধামে পুনর্গমন করিলেন। তদনন্তর ক্রমে ক্রমে বীরকুলের পরাক্রমাগ্নি রণস্থলে যেন নিস্তেজ হইতে লাগিল। কিন্তু ইতস্ততঃ সে পরাক্রমাগ্নি যৎকিঞ্চিৎ প্রজ্বলিত রহিল।

 এমত সময়ে কোন এক ট্রয়স্থ বীরবর দুর্ভাগ্যক্রমে স্কন্দপ্রিয় বীরেশ মানিল্যুসের হস্তে পড়িলেন। ভাগ্যহীন বীরবরের অশ্বদয় সচকিতে রথসহ ধাবমান হইলে পর, রথচক্র পথস্থিত কোন এক বৃক্ষের আঘাতে ভগ্ন হইলে, বীরবর লম্ফ দিয়া ভূতলে পড়িলেন। এ দুরবস্থায় নিরস্ত্র হইয়া ভগ্নরথ রথী কালদণ্ডধারী কালের ন্যায় প্রচণ্ড শূলী রণপ্রিয় বীরসিংহ মানিল্যুস্‌কে সকাশে দণ্ডায়মান দেখিলেন, এবং সভয়ে