পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় তাঙ্ক । ২১ হরপ্রসাদ। (দেওয়ানের প্রতি চাহিয়া) হেম যদি ওম্বনি ওম্বনি পলায় ? জনৈক পাইক। হুজুর তা হবার ত যে নেই, মোদের ভেতর লক্ষণ অণর তরিকুল্লা তেনার সাতে আছে। দেওয়ান। আর সে ত জানে না যে জমিদারের লোকে আগুণ দিয়েচে, আর তাদের ত ব’লে দেওয়া হ’য়েচে, যদি হেম পলাবার ফিকির ক’রে তা হলে তাকে বরাবর ধ’রে নিয়ে আসে । হরপ্রসাদ। ই ই হয়েচে বটে (কিয়ৎক্ষণ চিন্তন ) তুমি কি বল এই অ্যাতটা কলুম এতে কি কিছু কাজ হবে না? দেওয়ান । এদের মুখ থেকে যে রকম শুনলুম, তৃণতে গ্রামের মধ্যে দশ পনেরে খানি ঘর ছাড়। আর সব পুড়ে খণকৃ হ’য়ে গিয়েচে; প্রজার এততেও যদি নিজীবী না হ’য়ে পড়ে, তা হ’লে কস্মিনকালেও তারা আপনাকে খাজনা দেবে না । হরপ্রসাদ। আমিও শুনেচি। জোর জোর টাকার জোর, আপাততঃ শালদের ঘর বধিতে হবে, বীটগাছটা কুলোখনি পৰ্য্যন্ত আবার পুনরায় সব করতে হবে, বেটাদের জিব বেরিয়ে যাবে ; বেটার কোথ। যাবে ( হাসিয়া) বেটাদের আমার কাছে কেঁদে পড়তেই হবে। দেওয়ান । তার আর বল্বার সর কি ? হরপ্রসাদ । তার পর এক আন সুদের হারে টাকা দাদন দিতে পারলে শালদের একবারে জুতোর তলে রাখবো। আমার স্বৰ্গীয় কৰ্ত্তঠাকুর এই রকম করে প্রজাদের আয়ত্তে এনে মানুষ মানুষত্ব করে গিয়েছেন। জমিদারী করা অার রাজত্ব করা একি সহজ কাজ, একি অলপ বুদ্ধিতে ছ’য়ে থাকে ? দেওয়ান। অজ্ঞে তার আর বলবার সর কি ! (পদ শব্দ ) হরপ্রসাদ । একজন উকি মেরে দেখ দেখিন কে কে আস্চে ।