পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ8 হেমচন্দ্র । কি কৃতান্তের কবল সদৃশ অমোঘ হ’লে, কিছুতেই নিস্কৃতি পাওয়ার উপায় দেখচি নি; দুরাত্মা, পলীয়ে এসেচি ব’লে আমাকে ধরবার জন্তে রত্নাকরে” বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ‘রত্নাকর প্রিয়নাথ বাবুর হস্তগত হয়েছে; তিনি পড়তে প’ড়তে অবশুই দেখতে পাবেন ; তিনি একজন বিষয়ী লোক, যদি দেখতে পান, যদি মনোযোগ দিয়া পড়েন, আর আমার উপর সন্দেহ করেন; তা হ’লে কি বলবে ? তিনি কি আমার কথায় বিশ্বাস করবেন ? হা ঈশ্বর ! কত দুঃখ, কত যন্ত্রণ, কত আশঙ্কা সহ করবে।— ‘রত্নাকর” হস্তে প্রিয়নাথ বাবু নিঃশব্দ পদ সঞ্চারে ছেমচন্দ্রের পশ্চাতে আসিয়। দণ্ডায়মান ) প্রিয়নাথ । হুেম ? হেমচন্দ্র। ( শিহরিয়া, পশ্চাতে দৃষ্টি, এবং প্রিয়নাথ বাবুকে সংবাদ পত্র হস্তে দেখিয়া ভয়ে কম্পিত হুইয়। ) অজ্ঞে প্রিয়নাথ ! হেম ? হেমচন্দ্র । (কম্পিত অবস্থায় পদানত হইয়া) মহাশয় আমি নির্দোষ— প্রিয়নাথ । এ চতুরী আমার সহিত কেন করলে ? তুমি দোষী কি নির্দোষ আমার জাম্বার কিছুমাত্র আবশ্বকত নাই। তুমি প্রথমে আপনার যথার্থ অবস্থা প্রকাশ না ক’রে, আপনার প্রকৃত নাম গোপন না ক’রে অামার নিকট কৰ্ম্মের প্রার্থন ক’লে না কেন ? তা হ’লে আমি স্পষ্ট বলতু আমি তোমাকে রাখতে পারবে। কি না। তুমি চাতুরী ক'রে মিথ্যা কথা ক’ছে আমার ছেলের শিক্ষক হয়েছ, এই গুৰু-ভার লয়েছ। তুমি জান যে তুমি যেরূপ দোষে দোষী, তাতে তোমাকে যে আজয় দেবে সে ব্যক্তির শাস্তি, তোমার শাস্তির সদৃশ হবে ; অতএব জেনে শুনে চাতুর করে আমাকে বিষম বিপদে ফেলতে বসেছ। হেমচন্দ্র। ( দীনভাবে ) মহাশয় আমার অবস্থা শুনুন্‌— প্রিয়নাথ । থাকৃ আর কথার প্রয়োজন নাই। ছেমচন্দ্র । মহাশয়, আমার দ্যায় অবস্থায় প’ড়লে বোধ হয় তাপনিও এরূপ করতেন ।