পাতা:হেমপ্রভা.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেম প্রস্ত । ఇు পৃথিবীস্থ তাবল্লোকের মন হরণ করিল ; অলিকুলের ঝঙ্কারে যুবক যুবতীগণের অঙ্গ মন্মথরমের উদ্রেক সহকারে সিহরিয়া উঠিল। বিমলেন্দু, বিদ্যুল্লতার হস্তধারণ করিয়া, নিশীযোগে পূর্ণচন্দ্রের আলোকে উপবনমধ্যে ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ পূৰ্ব্বক, সুধু বসন্তকালের সুখ আহরণ করিতে লাগিলেন। কিঞ্চিৎকালান্তে বণিক নন্দন নিদ্রাবেশে কাতর হইয়া উপবনস্থ অট্টালিকায় প্রত্যাগমন পূর্বক পলঙ্কোপরি শিরীষ কুকুম সদৃশ শয্যায় শয়ন করিয়া কুযুপ্তি প্রাপ্ত হইলেন। বিদ্যুল্লতাও তদুপরি এক পাশ্বে শয়ন করিয়া বিহঙ্গমগণের গান শুনিতে মনঃসংযোগ করিয়া থাকিলেন । ৮ তদনন্তর রাত্রি প্রায় শেষ হইয়াছে, এমন সময়ে নদীতীরে এক শৃগাল ডাকিয়া বলিতেছে “যদি নিকটে কোন সতী স্ত্রী থােক, তবে আগমন করিয়া এই নদীমধ্যে ভাসমান এ মৃতদেহে যে পাঁচটা মণি আছে নিয়া যাও। আমি তাহাদিগের নিমিত্তে শবম্পর্শ করিয়া অভিলষিত গলিত মাংস আহার করিতে পারিতেছি না।" বিছ্যলতা পশুপক্ষীর ভাযা জানিতেন ; কুতরাং শিবার কথা বুঝতে পারিয়া নদ্যভিমুথে গমন করিলেন। যাইয়া দেখেন স্রোতস্বতীমধ্যে যথার্থই একটি শব ভাসিয়া যাইতেছে। তথন কম্পপ্রদান পুৰ্ব্বক সন্তরণ দিয়া শবটি কুলে নিয়া আসিলেন। দেখিলেন শবটীর বসনাঞ্চলের গ্রন্থিমধ্যে বেন পুশশধরের আভা প্রকাশ পাইতেছে। মনে মনে অসীম আনন্দিত চুইয়া খুলিয়া দেখেন, যথার্থই তন্মধ্যে পাচটি মণি আছে ; লইয়া খবল্পর্শ