পাতা:হেমপ্রভা.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

($ হেমপ্ৰভা ৷ পক্ষীর অবয়ব প্রস্তরময় হইয়া আছে। রাজকুমার নিতান্ত কৌতুকাবিষ্ট হইয়া পুনঃই দৃষ্টিনিক্ষেপ করত দেখেন তিনি র্যাহার জন্যে সন্ন্যাসিবেশ ধারণ পুৰ্ব্বক দেশবিদেশ শৰ্য্যটন করিয়া অশেষ ক্লেশ পাইতেছেন, সেই সৰ্ব্বাঙ্গুরুবীর বণিককুমারীর প্রস্তরময় প্ৰতিৰূপও সেখানে আছে। কথিন মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন আমি যাহার জন্যে দেশ বিদেশ পর্য্যটন করিতেছি ; এই প্রস্তরময় প্ৰতিৰূপ-সমূহমধ্যে তাহার অবয়ব দেখিতে পাইতেছি । যেহউক, বোধ করি ইহা কোন দৈব ঘটনাক্রমে হইয়া থাকিবে ; কেননা, দেখা যাইতেছে কত দেশবিদেশী মনুষ্য এবং বিবিধপ্রকার পশুপক্ষী প্রস্তর হইয়া আছে। এখন স্পর্শ করা কৰ্ত্তব্য নয়। কিন্তু কি করিবেন তৎতাবনায় বিমূঢ় হইয়া, হাটিতে হাটিতে বনের এক প্রান্তভাগে গিয়া এক মনোহর শোতনতম মন্দির দেখিতে পাষ্টয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করিলেন । ঐ মন্দিরমধ্যে, মহামায়া মহেশ্বরী মহেশ-মনোমোহিনীর প্রতিৰূপ স্থাপিত ছিল । জয়দত্ত, তদবলোকনে বিপুল আনন্দাধিকারী হইয়া বন হইতে বিবিধপ্রকার পুষ্প চয়ন করিয়া আনিয়া, ভক্তিভাবে ভবজায়ার পুজা সমাপন পূর্বক স্তব করিতে লাগিলেন তোমার প্রসাদাৎ কুরগণ, অমুর ভয় হইতে নিস্কৃতি পাইয়া অদ্যপি মুখে স্বর্গে বিরাজ করিতেছেন ; তোমার প্রসাদাৎ দশরথাত্মজ রামচন্দ্র, মহাবল কপিবল সহ দুরন্ত লঙ্কেশ্বরকে সবংশে সংস্কার পূর্বক সীতা উদ্ধার করিয়া, চতুর্দশ সহস্র বর্ষ পৰ্য্যন্ত অকণ্টকে রাজ্য ভোগ করিয়া