হেমাঙ্গিণী নাটক । نیان বিজ। বিজয় কদাচ বন্ধুহীন হতে পারে না, অথচ ক্লেশকর জীবনের অসহ্য যন্ত্রণাভারও সহ্য কত্তে অভিলাষী নয়, (আত্মহত্য জন্য তরবাল উত্তোলন, বীরবল কৃত নিরস্ত্র হওয়া ) এ কি নিরাস্ত্র হলুম, কিমাশ্চৰ্য্য, ভীতু অন্তরের অপরাধ সহজেই কি এতাদৃক প্রবল হয়, ছায়, অজয় হত্যার পূর্বে তো আমি বিলক্ষণ সবল ছিলাম। বীর। দীর্ঘমায়ু অধিকারই হন্তকের পক্ষে দণ্ডবিধি, আর যে সমস্ত অপরাধে তুমি পতিত হয়েচো, বোধ করি তার শত ংশের এক অংশেও এ পর্য্যন্ত পরিচিত হও নি, ক্রমে লবণ সংলগ্ন করে তোমার ক্ষত অন্তর শীঘ্রই জ্বালাতন কত্তে কাৰ্য্যবশতঃ প্রবৃত্ত হলুম, সম্প্রতি নিহত মহোদয় অজয় বস্ত্রগ্রন্থে অত্র লিপি প্রাপ্ত হয়েচি, আর তোমার পাঠার্থ আনয়ন করেছি গ্রহণ কর (পত্র প্রদান ) বিজ। ( পত্র অবলোকন ) “সম্রাটের স্থানে আমার ক্ষমা প্রার্থন করেচে” আমার অহিত্যচরণ রাজদর্শন হতে গোপন রক্ষা কারণ সুচিত্রে বর্ণনাপত্র চিত্র করেচে, আর আমার সম্মান সজীব রক্ষণে আপন মান বিসর্জন দিতেও উৎক্ষুক হয়েচে, অমৃতবৃক্ষের আর্জন কুস্থানে হলেও সুমিষ্ট ফল অনায়াসেই উৎপন্ন হয়, অজয় যে চরমে ও সুষশে অভিষিক্ত হতে বিস্মরণ হবে তা কদাচই সম্ভবে না, ছায়, এমন মহামূল্য রত্ন খোয়ায়ে বৃধ গ্রন্থে অঞ্চল বন্ধন করেচি, আমার মত পাষণ্ড কাণ্ডজ্ঞান রহিত ব্যক্তির প্রতি কাল বুঝে কালও কি প্রতিকূল হলেন, হায়, যন্ত্রণ
