Soo হেমাঙ্গিণী নাটক । বিজ। বোধ করি এ জনমের মত,—হায় এ সময় সে অবল সরল বোলা হেমাঙ্গিণী কোথা গেল, সে সর্বস্বহারিত কামিনীর শান্তন জন্য কি উপায় আছে, হে অচৈতন্য ! আমার এ অধোবদন তার নয়ন অগোচর করে আমায় কিয়ৎকাল জন্য সুস্থির কর— (হেমাঙ্গিণীর প্রবেশ । ) জর দেহে উদরাময় উদয় হলে কতক্ষণ প্রাণরক্ষা কর। যায়, হয়, ঐ যে স্মরণমাত্রেই চারু বদনি এদিগেই আগ মন কচেচন । -- হে। মহারাজ দুঃখিনীর দুঃখ বৃদ্ধি জন্য কল্পতরু কি বন্ধ্য হলেন । বিজ। এখন আমায় বিরক্ত করেন, কে তুমি । হে। আপনকার ক্রীড়া দাসী দুঃখিনি হেমাঙ্গিণী, যে অনিচ্ছায় বিষাধ অপরাধে পতিত হয়ে ত্ৰাণ কারণ ঐ পদে প্রাণ পিণ্ডদান প্রদান কত্তে দণ্ডায়মান আছে, মহারাজ, জঠরানল উত্তাপে সহজেই অন্নবিচার বিরহ হয়, আর জাতি রক্ষণে দরিদ্রে সুতরাংই অক্ষ্যম হয়, স্ত্রীজাতী একে বুদ্ধিহীন, তাতে দুঃখানলে উত্তাপিত কাতর অন্তর উন্মত্ত৷ জন্যই তত্ত্বপথে আগমনে সদাই বিরত হয়, এই বলে অধমের অপরাধ গ্রহণ কল্যে, পতিতপাবন নাম উচ্চারণ কদাচ জাগ্রত থাক্ত না, (জানু মুড়ে উপবেশন ও গলে বস্ত্ৰ ) মহারাজ, দাসীর অপরাধ মার্জন করে কণিকামাত্র কৃপা বিতরণে অধিনীকে চিরবাধ্য ঋণে আবদ্ধ করুন।
