পাতা:হেমাঙ্গিনী নাটক.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষু। তোমার করুণ বচনে আমার অন্তর বিদীর্ণ হতেচে, সখি, । চিরকাল সমকাল থাকে না, কাল পরিবর্তে অবস্থাও পরিবর্তন জন্য স্বস্বব্যস্ত হয়, সুতরাং তোমার এ অবস্থা ছে। জীবনান্ত হলেও কি এ দুঃখের অন্ত আছে সখি, । সু। আহ ! শোকানল-উত্তাপে তোমার হেম-মূর্তির বিচিত্র চিত্রকে চিত্রহীন করেচে, আর তোমার গোলাব বর্ণকে জবার বর্ণ করেচে– । ছে। সখি, বর্ণের কথা বলে আর মৰ্ম্মে ব্যথা দিওনা, বর্ণশ্রেষ্ঠা রমণী ভূজঙ্গিনী স্বরূপিণী, যদি পয়োধর স্বরূপ আমার । রূপ হতো, তবে সম্মোহন রূপের কৃতান্ত দণ্ড স্বরূপ কটাক্ষে কদাচ ভয় থাক্তোন, অথচ ভুলভ পদার্থ প্রতি প্রতিকূল হয়ে কুল রক্ষণে অনায়াসেই সক্ষম হতুম, সখি, যদবধি সরল অন্তরে সবল প্রমাঙ্কুর না প্রভাকর হয়, পরমসুখে সে অন্তর অনন্তমুখ সম্ভোগ কত্তে সক্ষম হয়, সখি, প্রণয় কি বিচিত্র ক্ষেত্র, প্রাপ্তই যেন স্বৰ্গবাস, আবার অপ্রাপ্তে কি হুতাশ কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হয়। সু। প্রাণচ্ছেদ যন্ত্রণ অপেক্ষ বিচ্ছেদ শয্যাকণ্টক বটে, কিন্তু । ধৈর্য্য ও কৃতকাৰ্য্যের আশাগার। । - হে। স্বার্জিত বৃক্ষ ফলবান দর্শনে আনন্দের কি সীমা থাকে সখি, কিন্তু সে মনোহর ফলভোগী না হলেও দুঃখের অন্ত জীবন অন্তেও অন্ত হয় না, প্রিয়সখি, অনেক যতনে প্রম কল্পতরুর আর্জনা করেছিলাম বৃক্ষের বৃদ্ধি দর্শনে