পাতা:হেমাঙ্গিনী নাটক.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমাঙ্গিণী নাটক। ':: কত করুণ, আবার কত স্নেহ তা আমি বিশেষরূপে" লক্ষ্য করেচি, আর আমি যে কি ঋণে র্তার চরণে আবদ্ধ আছি, তাও জগতে অপ্রকাশ নেই, যদি আমার সুখসৌরভাম্রাণে চিত্ত তৃপ্তকরণে অভিলাষী হতেন, তবে এ তস্করাবাসে আমার আবাসমন্দির হত না । অথচ করুণ। অলঙ্কারে আমায় অলঙ্কত করে আমার সকাতর জনকসন্নিধানে আমায় অবশুই পাঠাতেন; মহাশয় যদি পুত্র জন্যই পরিণয়ের বিধি হতো, তবে স্বরূপ কামিনী কদাচই উচ্চমূল্যে বিক্রীত হত না। বীর। কল্যাণী, অসামান্য মোহন রূপ লাবণ্য প্রভায় দৃষ্টির জ্যোতিহীন হয়ে সহজেই মানবে সরল পথ বিস্মত হয়, সে জন্য রাজার অপরাধ মার্জন করা উচিত, আর সৌরভান্বিত সু-দৰ্শন পদার্থ অবশ্যই চিত্তরঞ্জন, ইচ্ছানুসারে সে অমূল্য রঞ্জন নয়ন অগোচর কন্তে কেহ কি ৷ , অভিলাষ করে সুন্দরি ? - ছে। মহাশয় পুলোকিত করণশিয়েই প্রিয়বাক্য প্রয়োগ করা, কিন্তু সময়ানুসারে স্বরসালাপেও কেউ বা ওষ্ঠ আবার কেউ বা রুষ্টও হয়, তোমার সখার প্রণয় যেমন পদ্মে মৃণাল দর্শন চিত্তরঞ্জন বটে, কিন্তু স্পর্শন যেন মৃত্যু দরশন। বীর। কল্যাণী শশ্যসঞ্চারেই তো শীষাঙ্কুর শিরোত্তোলন করে আর পরিপকে নতশির হয়, আমার সখার প্রমপক্ষে এই হাতে খড়ি বৈতো নয়, আমি জানি তার স্বভাব নম্রভাব নয়, কিন্তু সে জন্য পবিত্র চিত্তে যখন প্রায়শ্চিত্তে