૨૪ হেমাঙ্কিণী নাটক । রজনী-নায়কের মত কলঙ্ক ভূষণ-সহকারে তিমির হরণ করে, এই বলে কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সাধনে সেবকে পুরস্কার প্রাপ্তাভিলাষী হতে পারে না, তবে যদি মন মধ্যে আশাতীত সন্তোষ প্রাপ্তে হৃষ্টচিত্ত হয়ে থাকে, ললীত রাগিণীতে বাহে অনুরাগ প্রকাশ করা অপেক্ষা কমল রাগ রজ্জতে সরল অন্তরে নিরন্তর আবদ্ধ রাখলে চিরদিন বাধ্য-ভূষণে ভূষিত হবে, প্রিয়ম্বদ, তোমার অভাবের অভাব হলেই আমি প্রচুর পুরস্কার প্রাপ্ত হব, তদ্ভিন্ন আমার জন্য আর কি পুরস্কার আছে সখা ? বিজ। আ দৃষ্টান্তাতীত করুণা, অসামান্য দৃঢ়তা এবং অসাধারণ হৃদ্যতা, সখী ! সেনামধ্যে অবলোকন করেছিলে কি, গত সমরে কোন কোন সেনাপতি বা নিহত হল, কে বা আহত হয়েচে, অথবা সেনাচয় কতই বা অপব্যয় হয়েচে ? বীর। প্রিয়ম্বদ, তালিকা দৃষ্টে হুরিষে বিষাদ হয়েচে । অপরিমিত অপব্যয়ে এ জয়লভ্য হয়েচে, প্রধান গণিত বীরচূড়ামণি সেনাপতি মণ্ডল, অৰ্দ্ধ সঙ্খ্যাধিক পদ বল, এবং চতুর্থ অংশাধিক অশ্বগণ, বায়ু সংলগ্নিত কদলী বৃক্ষেরমত বিশৃঙ্খল পূর্বক সমৃর শয্যায় পতিত হয়েচে, কিন্তু বর্তমানে সে বিষাদ আস্বাদনে যত্নবান হলে পর, মনসাধ পুরণের নিরূপায় দর্শন হয়, এ জন্য চিত্তরঞ্জন সমাচার আনয়ন করেচি, শ্রবণে সুস্থ হও। বিজ। সখী ! সেনা হত সমাচার শ্রবণে আমার অস্থির চিত্ত
