পাতা:হেমোপাখ্যান.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমোপাখ্যান । 気> তাহার কিছুমাত্র প্রভেদ নাই, একাবয়ব তুল্য বয়ঃক্রম, জার আমাদের উভয়ে হরিহর আত্মা, শয়ন ভোজন, গমনাগমন ও উপবেশন আমরা এককালে সম্পন্ন করিয়া থাকি । এই সকল বিষয় তুমি পরে জ্ঞাত হইতে পরিবে, আমি যথার্থ কহিতেছি, তোমাকে প্রবঞ্চনা করিতেছি না, তুমি কিঞ্চিংকাল অপেক্ষা কর, অামি সত্বর তাঁহাকে আনয়ন কৰুিতেছি । ইছা শুনিয়া কাদম্বিনী ভাবিলেন যে, রমণীগণের অভিলধিত কোন কৰ্ম্মই স্বকীয় বশে সম্পাদিত হয় না, বিধাতা নারীজাতিকে নিতান্তই পরপরায়ণ করিয়াছেন । সুতরণই রমণীগণকে বালিকাবস্থায় মাতা পিতার, যৌবনকালে স্বামির আর বাৰ্দ্ধক্যে পুত্ৰ কন্যার অধীনে চলিতে হয়, এইরূপে রমণীগণকে যাবজ্জীবন পরাধীন হইয়া কালযাপন করিতে হয় t এবশুপ্রকার বিবেচনা করিয়া গন্ধৰ্ব্বতনয়! কিয়ৎক্ষণ পরে বলিতে লাগিলেম । হে মামবাপ্রগণ্য ! আপনকার যাহা কৰ্ত্তব্য হয় কৰুন কিন্তু আমি আর এস্থানে একদণ্ডকালও থাকিতে পারিব না, আমার মনঃ প্রাণ অতিশয় চঞ্চল হইতেছে, এবং কে যেন আমাকে আকর্ষণ কারতেছে, অতএব আমি এইক্ষণে আপনকার সহিত গমন করিব । - - এই কথা শুনিয়া শূরসেন কহিলেন, চঞ্চলে ! তুমি গমন করিবে সভ্য কিন্তু তোমাকে লইয়া যাইতে আমার অন্তঃকরয়ে যৎপরোনাস্তি ভয় স্কুইতেছে, বস্তুতঃ তোমার গরমে আমি সুমঙ্গল দেখিতেছি না ; এই রজনীকাল ঘোর কান্তারে প্রবেশ কীরকন্তু হুইবে তাৰো বহুবিধ বন্য জন্তু সীল বিচ