১৫১৩ সাল।
১৭
“তাহা তোমার শুনিয়া কি হইবে? এক মিনিট্ সময় দিলাম। প্রস্তুত হও।”
“একটা কথা শোন্। স্থির হ’। সে তোকে জোর পাঁচ শ’ বা হাজার দিবে। তাও নগ্দা নয়। আমাদের মারিয়া ফেলিলে পর। ফলে, টাকা নাও দিতে পারে। উল্টা তুই ধরা পড়িবি ও প্রাণটা খোয়াইবি। তাই বলি, একটু স্থির হইয়া বিবেচনা কর। যাহা হইয়াছে তাহার উপায় নাই। তোকে আমি নগদ ২০০০৲ দিব। তুই তাহা লইয়া দেশে চলিয়া যা। সেখানে গিয়া একটা কারবার করিয়া খাস্। ও মুখ আর এখানে দেখাস্ নি। কি বলিস্?”
দেখিলাম প্রস্তাবটা হরিশের অন্তঃস্থল বিদ্ধ করিয়াছে। একটু চিন্তা করিয়া সে বলিল,
“বিশ্বাস কি?”
“যাহাতে হয় তাহাই করিব।” বন্ধু উত্তর দিলেন। “তুই এক কাজ কর্। পিস্তল দুইটা তোর ডাইনে যে গ্লোব দুইটা আছে তাহাদের পাশে রাখিয়া দে। পরে উহাদের উপরিভাগ জোরে চাপিয়া ধর্। তাহা হইলেই উহারা ফাঁক হইয়া পড়িবে। উহাদের প্রত্যেকটার ভিতর ১০০৲ টাকা করিয়া ১০ খানা নোট আছে। তাই নে। ভয় নাই, আমরা পলাইয়া যাইব না বা তোকে ঐরূপে নিরস্ত করিয়া আক্রমণ করিব না।”
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একবার আমার বন্ধুর দিকে চাহিয়া সে পিস্তল দুইটা তাহার কোটের পকেটে রাখিল। পরে জোরে গ্লোব দুইটার উপর চাপিয়া ধরিল। তৎক্ষণাৎ বন্ধুবর নিকটস্থ একটা কল দুই চারি বার ঘুরাইয়া দিলেন। হরিশ চীৎকার করিয়া উঠিল ও তাহার হাত সরাইয়া লইতে চেষ্টা করিল, কিন্তু পারিল না।
বন্ধুবর হাস্য করিয়া বলিলেন:—