সিণ্ডেরেলা
পরী বললেন, “সিণ্ডেরেলা, আমি তোমার ধর্ম-মা, তোমার প্রিয় মায়ের অনুরোধে আমি তোমাকে চাঙ্গা করতে এসেছি, তাই চোখের জল মোছ; তুমি আজ রাতে নাচের আসরে যাও; কিন্তু তার আগে আমি যা বলব সেটাই তোমাকে করতে হবে। যাও, বাগান থেকে একটা কুমড়ো নিয়ে এসো।” সিণ্ডেরেলা সব থেকে সেরা কুমড়োটি এনে দিল। তার ধর্ম-মা খুব তাড়াতাড়ি কুমড়োর ভেতর থেকে সব বের করে নিলেন আর জাদুছড়ির ঘা দিতেই অমনি সেটা একটা সুন্দর ঘোড়ার গাড়িতে পাল্টে গেল। এরপর, তিনি ইঁদুর ধরার কলে উঁকি মেরে ছ’টি ইঁদুর দেখতে পেলেন। তিনি তাদের ওপর ছড়ির মৃদু টোকা দিতেই ইঁদুরগুলি সেরা সেরা ঘোড়া হয়ে গেল। ইঁদুরকলে দুটি ধেঁড়ে ইঁদুর ছিল; তার জাদুতে একটি সহিস আর আরেকটি গাড়োয়ান হয়ে গেল। পরী এরপর সিণ্ডেরেলাকে বাগান থেকে ছয়টি টিকটিকি খুঁজে আনতে বললেন। তিনি সেগুলিকে সুন্দর জামাকাপড় পড়া ছ’জন আর্দালি বানিয়ে দিলেন।
যখন সবকিছু শেষ হল, তখন দয়াময়ী ধর্ম-মা তাঁর জাদুছড়ি ছুঁইয়ে তার ছেঁড়া কাপড়গুলিকে রূপো ও মুক্তোয় মোড়া সুন্দর পোশাকে বদলে দিলেন। এরপর তিনি তাকে মাকড়সার জালের মত সূক্ষ্ম কাঁচ দিয়ে বোনা একজোড়া কাঁচের চটিজুতো দিলেন।
সিণ্ডেরেলার সাজ যখন শেষ হল, তার ধর্ম-মা তাকে সেই সুন্দর ঘোড়ার গাড়িতে চাপানোর সময় সাবধান করে দিলেন যেন ঘড়িতে বারোটা বাজার আগেই সে আসর ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
সিণ্ডেরেলা পোঁছতেই তার সৌন্দর্য্যে সকলে অবাক হয়ে গেল। বীর রাজকুমার তাকে সাদরে আমন্ত্রণ করে নাচের ঘরে নিয়ে গেলেন; রাজা-রাণীও তাকে দেখে রাজকুমারের মতই মন্ত্রমুগ্ধ। রাজকুমার
৫