পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à 88 হেমচন্দ্র ও মধুসূদন কখন পারি না। কবি গেটে শকুন্তলার সৌন্দর্য্য দশ পংক্তিতে প্রকাশ করেন, কিন্তু আর একজন কবি রবীন্দ্রনাথ, সেই কয় ংক্তি বুঝাইয়া দিলে, তবে আমরা সেই সমালোচনা সম্যক বুঝিতে পারি। বিক্টর হুগো বুঝাইলে, তবে সেক্সপীয়র বুঝা গেল। রবীন্দ্রনাথ বুঝাইলে, তবে কুমার-শকুন্তলা বুঝিতে পারিলাম। হেমচন্দ্র মধুসূদনের বীরকাব্য মেঘনাদ বুঝাইয়াছিলেন, আমাদিগকে বুঝাইতে সংকল্প করিয়াছিলেন। তখন র্তাহারই কবিত্ব-গুণে আমরা বুঝিতেছিলাম-জাতিবৈর। সেই জাতিবৈরে প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করিয়া, বীর কাব্যের অভিনব প্রতিমা হেমচন্দ্র বঙ্গে অধিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন-বৃত্রসংহার। এই কাব্যের সূক্ষ্ম শিক্ষার কথা পরে বিস্তৃত ভাবে বলিব, এখন মধুসূদনে হেমচন্দ্রে আমরা তুলনা করিতেছি মাত্র। বীরকাব্যে হেমচন্দ্র সকল অনুকারীর ন্যায়। ওস্তাদের নিম্নস্তরে। প্রসাদগুণে হেমচন্দ্র পূৰ্ববর্ত্তাদিগের নিম্নে; সমকালবর্ত্তী ‘শিক্ষিত মধুসূদনেরও নিয়ে। বুত্রসংহারে শচী-চপলার কথোপকথন,- “কেমনে ভুলিব বলা মেঘে যবে আখণ্ডল, বসিত কর্ম্মক ধরি করে; তুই সে মেঘের অঙ্গে, খেলাতিসকত রঙ্গে, ঘটা করি লহরে লহরে! কি শোভা হইত। তবে, বসিতাম। কি গৌরবে: পার্থে তার নীরদ-আসনে। হইত কি ঘন ঘন, মৃদু মন্দ গরজন, মেঘ যবে দুলাত পবনে।