` »bፖህ” সমর্থ রামদাস স্বামী করিলেন ও রামদাস স্বামীর নামে রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন; এবং তৎ চিহ্ন স্বরূপ ধবজপতাকাদি গৈরিক-বর্ণেরঞ্জিত করিলেন। এই সময় হইতে মহারাষ্ট্ৰীয়গণের মধ্যে গৈরিক পতাকা ব্যবহৃত হইতে লাগিল। রামদাস স্বামী ধর্ম্মপ্রচারোদেশে সমগ্র মহারাষ্ট্র দেশ ভ্রমণ ও মারাঠাগণকে স্বদেশভক্তি ও প্রভুভক্তি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করেন। শিবাজীর প্রতি তাহার অকৃত্রিম স্নেহ ছিল। খ্রীষ্টীয় ১৬৮০ অব্দের চৈত্র মাসীয় পূর্ণিমা রবিবার দিবা দুই প্রহরের সময় মহাত্মা শিবাজী অকালে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। প্রিয়তম শিষ্যের এইরূপ আকস্মিক মৃত্যু-সংবাদ শ্রবণে রামদাস স্বামী হৃদয়ে অতিশয় আঘাত পাইলেন। এই ঘটনায় তাহার হৃদয় এরূপ ভগ্ন হইয়া গেল যে, তিনি তাহার পর আর অধিক দিন সুখে স্বচ্ছন্দে কালব্যাপন করিতে পারেন নাই। শিবাজীর মৃত্যুর পর তৎপুত্র কুলাঙ্গার সাম্ভাজী সিংহাসনে আরোহণ করিয়া স্বীয় নিষ্ঠুরতা, বিলাসপ্রিয়তা, অসচ্চরিত্রতা ও দাম্ভিকতার পরিচয় প্রদান, ও তদ্বারা নব সংস্থাপিত মহারাষ্ট্ৰীয় রাজ্যের অবনতি সাধনে প্রবৃত্ত হইলে, মহাত্মা রামদাস। তঁহাকে এক উপদেশ পূর্ণ পত্র লিখিয়াছিলেন। যে রামদাস স্বামীর উপদেশ মহাত্মা শিবাজীর হৃদয়ে উৎসাহানল প্রজ্বলিত করিয়া দিত, তাহা দুর্বত্ত সাম্ভাজীর হৃদয়কে অণুমাত্র বিচলিত করিতে সমর্থ হইল না। তখন রামদাস স্বামী বুঝিতে পারিলেন যে, সাম্ভাজী জীবিত থাকিলে রাজ্যের আর মঙ্গলাশা নাই। যিনি মহারাষ্ট্র জাতির উন্নতির জন্য সহস্র চেষ্টা করিয়াছেন, এই দৃশ্য তাহার চক্ষে অসহনীয়। রামদাস স্বামী মর্ম্মান্তিক কষ্টে জীবনের অবশিষ্টাংশ অতিবাহিত করিয়াছিলেন;