পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গসাহিত্যে বিজ্ঞান SS6 আর কোন দেশেই নাই। আমরা এদেশে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করিয়া জ্ঞানী ও গুণী হইয়াছি বলিয়া আত্মাদরে স্ফীত হই, অপরাপর দেশে সেই সময়েই প্রকৃত জ্ঞানচর্চার কাল আরম্ভ হয়। কারণ, সে সকল দেশের লোকের জ্ঞানের প্রতি যথার্থ অনুরাগ আছে, তাহার একথা সম্যক উপলব্ধি করিয়াছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার হইতে বাহির হইয়াই জ্ঞান-সমুদ্র-মন্থনের প্রশস্ত সময়। আমরা দ্বারকেই গৃহ বলিয়া মনে করিয়াছি, সুতরাং জ্ঞানমন্দিরের দ্বারেই অবস্থান করি, অভ্যন্তরস্থ রত্নরাজি দৃষ্টিগোচর না করিয়াই ক্ষুঃমনে প্রত্যাবর্ত্তন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাধিক পঞ্জিকা পরীক্ষান্তীর্ণগণের নামে পরিপূর্ণ দেখিলে চক্ষু জুড়ায়। এক বৎসর হয়ত উদ্ভিদবিদ্যায় দশজন প্রথম শ্রেণীতে এম, এ পাশ হইলেন। কিন্তু অগ্নিস্ফুলিঙ্গ এখানেই নির্বাণপ্রাপ্ত হইল; সে সমুদয় যুবকগণকে ২১ বৎসর পর আর বিদ্যামন্দিরের প্রাঙ্গণেও দেখিতে পাওয়া যায় না। পিপাসা-শূন্য জ্ঞানালোচনার এইত পরিণাম। জাপানের জ্ঞান-তৃষ্ণা আর আমাদের যুবকগণের তৃষ্ণ দুই তুলনা করিলে অবাক হইতে হয়। সম্প্রতি সঞ্জীবনীতে কোন বাঙ্গালীযুবক জাপানে পদার্পণ করিয়াই যাহা লিখিয়াছেন, তাহা এস্থলে উদ্ধত করা গেল:- “জাপানীদের জ্ঞানতৃষ্ণা যেরূপ, অন্য কোন জাতির সেরূপ আছে কিনা সন্দেহ। কি ছোট, কি বড়, কি ধনী, কি নির্ধন, কি বিদ্বান, কি মুর্থ, সকলেই নূতন বিষয় জানিতে এতদূর আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকে যে, ভাবিলে অবাক হইতে হয়। জাহাজ: হইতে জাপানে পদার্পণ করিবার পূর্বে যে আভাস পাইয়াছিলাম তাহাতেই মনে করিয়াছিলাম। এরূপ জাতির উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। • *