পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর RRS). আগত পৈত্রিক সম্পত্তি। ইহার জন্য তঁাহাকে কখন ঋণস্বীকার করিতে হয় নাই। সম্প্রতি আমাদের পরমশ্রদ্ধাভাজন মাননীয় কোন মহাশয় এইরূপ একটা কথা তুলিয়াছিলেন যে, পাশ্চাত্যগণের সহিত আমাদের সামাজিক কুটুম্বিতাস্থাপন না ঘটিলে, আমাদের জাতীয় চরিত্রের উন্নতির সম্ভাবনা নাই। কথাটা লইয়া আমাদের সমাজমধ্যে অনেকটা আন্দোলন চলিয়াছিল। আমাদের মধ্যে র্যাহারা পাশ্চাত্য বেশভুষার ও পাশ্চাত্য আচারের পক্ষপাতী, তাহারা এই আন্দোলনে কিছু চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিলেন। বৈদেশিকের সহিত কুটুম্বিতস্থাপন ও বিদেশের আচার-গ্রহণসম্বন্ধে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত গ্রহণ করিতে গেলে কি ফল ঘটিত, বোধ হয়, উল্লেখ অনাবশ্যক। তাহার খাটি দেশীয় পরিচ্ছদ হইতেই তাহার উত্তর মিলিতে পারে। চটজুতার প্রতি তাহার একটা আত্যন্তিক আসক্তি ছিল বলিয়াই তিনি যে চটজুতা ভিন্ন অন্য জুতা পায়ে দিতেন না, এমন নহে। আমরা যে স্বদেশের প্রাচীন চটি ত্যাগ করিয়া বুট ধরিয়াছি, ঠিক তাহা দেখিয়াই যেন বিদ্যাসাগরের চটির প্রতি অনুরাগ বাড়িয়া গিয়াছিল। বাস্তবিকই এই চটিজুতাকে উপলক্ষমাত্র করিয়া একটা অভিমান, একটা দৰ্প র্তাহার অভ্যন্তর হইতে প্রকাশ পাইত। যে অভিমান ও দৰ্পের অনুরোধে নিতান্ত অনাবশ্যক হইলেও মুটের মাথা হইতে বোঝা কাড়িয়া নিজের মাথায় তুলিয়া পথ চলিতেন, এই দৰ্প ঠিক সেই দৰ্প। আচার বিষয়ে অন্যের অনুকরণ দূরের কথা, বিদ্যাসাগরের চরিত্রে এমন দুই একটা পদার্থ ছিল, যাহাতে পাশ্চাত্য মানব