मथाइरू-जऔख्। بیرونSN۔ ভাবিয়ছিলাম, তাহার একটিও প্রকাশ করা গেল না। ফুল, পাখী, সমীরণ, জ্যোৎস্নালোক, হাসি-হাসি মুখখানি, এগুলির একটিকেও স্থান দিয়া উঠিতে পারিলাম না, কাজেই সেই সুমিষ্ট বোন্দেকে ছাড়িতে হইল। অন্যদিকে আমার কবিতাবাতালোড়িত হৃদয় কিছুতেই শান্ত হইল না। দুর্ব্ববুদ্ধি আমার, তাই কখনও যাহা সজ্ঞানে অজ্ঞানে, শয়নে স্বপনে করি নাই, তাহা করিলাম। বন্ধু গভীরভাবে বসিয়াছিলেন, তাহাকে একটি গান গাইতে বলিলাম; গান গাইবার পরিবর্তে তিনি আমার অনুরোধের যে উত্তর দিয়াছিলেন, জীবনে তাহা ভুলিব না। যদি তিনি সেই উত্তরটি র্তাহার সুকণ্ঠে চাপিয়া রাখিয়া, তৎপরিবর্তে র্তাহার বিবিধ বাদ্যযন্ত্রপীড়নজনিত কিণচক্রগরিষ্ঠ শ্রীহস্তে চপেটাঘাত করিতেন, তবে আমার কোন অসন্তোষের কারণ থাকিত না; বরং তঁাহাকে “বিদ্যালয়ের শিক্ষক হও” বলিয়া আশীর্ব্বাদ করিতাম। বন্ধু আমাকে একটু বিন্দ্রপের হাসি হাসিয়া বলিলেন যে, মধ্যাহ্নে সঙ্গীত হয় না। মানুষ সকল ক্লেশ সহিতে পারে, কিন্তু যাহাতে তাহার আত্মাভিমানের ঘাড়ে হাত পড়ে, তাহা কিছুতেই সহিতে পারে না। সঙ্গীতে আমার স্বরও নাই, অভিমানও নাই। কিন্তু সকল বিষয়েরই একটু সাধারণ জ্ঞান আছে, এমন অহঙ্কার ক’জনার নাই? গান গাইতে না পারি, কিন্তু তাই বলিয়া আমার ক্ষুদ্র একটি প্রশ্নে একরাশি ব্যাকরণ ও অলঙ্কারে ভুল থাকিবে, অথবা বুদ্ধি-নামক সুন্ম পদার্থের অভাব বুঝাইবে, ইহা কি .প্রাণে সহে? মধ্যাহ্নে কি সঙ্গীত হয় না? অরুণের তরুণাচ্ছীটা, উষার কিশোর কাস্তি ও তদীয় চম্পক-অঙ্গুলি-স্পর্শোদীপ্ত মেঘমালার