SS স্বপ্ন-দর্শন, -ব্যায়-বিষয়ক আসিতেছি, তাহাতে আমার নিশ্চয় বোধ হইল, ইহার প্রতীকার করা এক প্রকার অসাধ্য। অতএব নিতান্ত অনুপায় ভাবিয়া সংসারাশ্রমে ধিক্কার দিয়া, এই পথের পথিক হইয়াছি। এই সমুদায় শোচনীয় ব্যাপার শ্রবণ করিয়া, আমি বিষাদ • সমুদ্রে মগ্ন হইলাম এবং দয়া, ক্ষোভ ও ক্রোধ পর্য্যায়ক্রমে আমার অন্তঃকরণকে ব্যাকুলিত করিতে লাগিল। সাংসারিক লোকের এই সকল অন্যায়াচরণ ভাবিতে ভাবিতে, সে রজনীতে আমার সুন্দর রূপ নিদ্রা হইল না; কারণ, চিন্তাকুল-চিত্তে সুচারু সুষুপ্তিসমাগম সম্ভব নয়। পরে রাত্রিশেষে কিঞ্চিৎ নিদ্রাকর্ষণ হইতেই আমি কি অপূর্ব্ব ব্যাপার সকলই দৰ্শন করিলাম! সে সমুদায় আমার এরূপ হৃদয়ঙ্গম হইয়া রহিয়াছে যে, স্বপ্ন কি বাস্তবিক, সহসা অনুভব করা যায় না। আমি জন-সমাজের যে প্রকার বিপর্য্যয় দেখিয়াছি, তাহা সবিশেষ বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। তবে তাহার স্থূল তাৎপর্য্য ও স্বদেশসম্বন্ধীয় যৎকিঞ্চিৎ যাহা দৃষ্টি করিয়াছি, তাহাই যথার্থবৎ বর্ণনা করি। কিন্তু স্বপ্নের সর্বাংশে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য না থাকিলেও না থাকিতে পারে। আমার বোধ হইল, যেন কোন তিমিরাবৃত রজনীতে ভ্রমণ করিতে করিতে, অকস্মাৎ আকাশ-মণ্ডলের পশ্চিমাংশ দাব-দাহতুল্য অসামান্য জ্যোতিঃপূর্ণ দেখিয়া, সাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইলাম। সেই আশ্চর্য্য তেজোরাশি দ্রুতবেগে অধোদিকে আগমন করিতে লাগিল। অনুভব হইল, যেন সুর্য্য-মণ্ডল কোন অনিৰ্দেশ্য অনির্ব্বচনীয় কারণবশতঃ স্থান-ভ্রষ্ট হইয়া, পতিত হইতেছে। কিঞ্চিৎ সমীপস্থ হইলে, তাহার অভ্যন্তরে এক পুরুষচ্ছায়া প্রত্যক্ষবৎ আভাসমান হইল। তাহার কিছুকাল পরে, স্পষ্ট