পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্নেয় গিরি মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রমে আজ অধ্যয়নশীল মুনিবালকগণের বড়ই আমোদ। ঋষ্যশৃঙ্গের আশ্রম হইতে ফিরিবার কালে, বশিষ্ঠ, একবার বাল্মীকির সহিত সাক্ষাৎকারের নিমিত্ত, তদীয় আশ্রমে উপস্থিত হইয়াছেন। সঙ্গে তাহার ভগবতী অরুন্ধতী এবং কৌশল্যা সুমিত্রা প্রভূতি। তাহাদিগকে দেখিবার মানসে কত তপোবন হইতে কত ঋষিপত্নীরা আসিয়াছেন। কত লোক আসিয়াছে, আশ্রম লোকে লোকারণ্য। সুতরাং আজ আর কাঠের পুতুলের মত স্থির হইয়া, “স্বাধ্যায়’ পড়িতে হইবে না। সমাগত অতিথিদিগকে লইয়াই আচার্য্য ব্যতিব্যস্ত,-পড়াইবেন কখন? তাই তাপসবটুকুন্দের এত আনন্দ। তাহদের কেহ বলিতেছে-“আজি শিষ্টানধ্যায়”-বিশিষ্ট ব্যক্তির আগমনে অধ্যয়ন বন্ধ; কেহ বলিতেছে-“ভাগ্যে এই ‘জীর্ণকুর্চগণ” আসিয়াছেন, একদিন তবুও অবসর পাইলাম।” মহাকবি আতি অল্প কথায়, আর্য্য আশ্রমের কেমন সুন্দর একখানি মূর্ত্তি আঁকিয়া দিলেন। সেই সঙ্গে, মুগ্ধ-প্রকৃতি, নির্ম্মল-হৃদয় বিদ্যার্থিগণেরও সজীব চিত্র যেন দর্শকগণের সমক্ষে তুলিয়া ধরিলেন। পূর্ব্ব দৃশ্যে, পঞ্চবটীবনে, স্বপ্নের মত আত্রেয়ী, বাসন্তী, রামসীতা, তমসা, মুরলা প্রভৃতি দেখা দিয়া চলিয়া গিয়াছেন। বিষাদের একটা গাঢ় আবরণে সকলেরই হৃদয় আবৃত -সেই কথা, সেই শোক, সেই কান্না, সেই বিলাপ, ক্ষণে ক্ষণে, শ্রাবণের ধারার মত, দর্শকগণের চিত্ত আল্পত