পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ ও কূপমণ্ডুকতা NOG প্রণালী এই; আমরা বিলাত যাওয়া লইয়া কোন গোলযোগই করি না।” অতএব দেখা যাইতেছে যে, হিন্দুজাতীয় ব্যক্তি, বিনা সমাজত্যাগে সমুদ্রগমন এবং বিদেশে পরিভ্রমণ করিতে পারেন। তবে আত্মসমাজের প্রতি যাহাঁদের ভক্তি এবং মমতা আছে, তাহারাই ওরূপ পারেন। যাহারা একেবারে আত্মগৌরব পরিশূন্য হইয়া নিজ সমাজের প্রতি অবজ্ঞা প্রদৰ্শন করিতে ভালবাসেন এবং সমাজের নিকট নতভােব ধারণ না করিয়া তাহার প্রতি তাচ্ছিল্য করেন, তাহারা সমাজ-মধ্যে পুনর্বার গৃহীত হইতে পারেন না, সেই স্থলেই প্রায় প্রায়শ্চিত্তাদির কথা উত্থাপিত হইয়া থাকে। মহারাষ্ট্রীয়দিগের মধ্যে আত্মগৌরব এবং সমাজগৌরব আছে। প্রকৃত কথা এই যে, যদি বিদেশ গমনের তাদৃশ প্রয়োজন এবং যথাযোগ্য উপায় থাকে, তবে বিদেশ গমনে হিন্দুসমাজ বিশেষ বাধা “প্রদান করেন বলিয়া বোধ হয় না। স্পৰ্দ্ধা করিয়া সমাজের প্রতি অবজ্ঞা প্রদৰ্শন না করিলে কোন সমাজই কখন ক্রুদ্ধ হয় না। হিন্দুসমাজ বিনয়-ব্যবহার মাত্র চাহেন। এই সমাজ উদ্ধত দুবৃত্তাদিগেরই প্রতি দণ্ড করেন। অন্যান্য সমাজে কোন ব্যক্তি যদি প্রচলিত মতবাদ হইতে অপর কোন মতবাদ গ্রহণ করিতেন তাহা হইলে তাহার প্রাণদণ্ড হইত। হিন্দু সমাজে ওরূপ। কখনই হয় নাই, পরধর্ম্মবিদ্বেষ কুপমণ্ডুকতার প্রধান লক্ষণ—তাহ হিন্দুসমাজে আজিও নাই, কস্মিনকালেও ছিল বলিয়া বোধ হয় না। কথিত আছে, ভগবান শঙ্করাচার্য্যের সময়ে কোন কোন বৌদ্ধের তুষানল হইয়াছিল। কিন্তু তৎসম্বন্ধে ইহাও কথিত আছে যে, ঐ প্রায়শ্চিত্ত সমাজকর্তৃক আদিষ্ট হয় নাই। যে পণ করিয়া বিচার হয়, সেই পাণরক্ষণ মাত্র।