3 জননী সোণামণি দেবী। এইরূপ অবস্থা-বিপর্য্যয়ে বিপর্য্যন্ত হইয়াও, এই এক পুত্র লইয়া অল্পবয়সে বৈধব্য ও তাজাত শত ক্লেশ ও অসুবিধা মন্তকে ধারণ করিয়া, তিনি পুত্রটির প্রতিপালনে মনোনিবেশ করিলেন। কিরূপ - ভাবে ছেলেটিকে মানুষ করিয়া তুলিবেন, এই একমাত্র চিন্তা তখন র্তাহার হৃদয়-মন পুর্ণরূপে অধিকার করিয়াছিল। সেই সময়ের কত্রকটি ঘটনা সংক্ষেপে বিবৃত করি, তাহা হইলেই পাঠক বুঝিতে পরিবেন, এই বাঙ্গালী মায়ের হৃদয়ের স্নেহ-পারাবার কিরূপ দৃঢ় বেষ্টনীদ্বারা श्तक्रिङ छिव्ण। স্যর গুরুদাসের পিতৃবিয়োগের পর, বৎসর অতিক্রান্ত হইবার। পূর্বেই যে আঁবের সময়, অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাস, আসিল—তখন তিনি সমগ্র জ্যৈষ্ঠ মাস বাপিয়া দুই বেলা দুটা, কোন দিন বেশীও, আঁ:ব খাইতে পাইয়াছেন। ১লা আষাঢ় তারিখে আহারের সময় আঁব চাহিবামাত্র তাহার মাতৃদেবী বলিলেন, “আজ আর আঁব খায় না, আঁব জ্যৈষ্ঠ মাসেই খায়, আষাঢ় মাসে আঁব খায় না, তুমিও খেয়ো না।” গুরুদাস আঁবের জন্য আবদার ধরিলেন। আঁব না হইলে, ভাত খাইবেন না। শেষ কঁান্নাকাটি মারধোর ব্যাপার-জননী কিছুতেই অব দিবেন না। গুরুদাসের সম্পর্কে এক ভাগিনেয়। সেইখানে বসিয়াই অব খাইতেছে, তিনি তাহা দেখিয়া নিজের অ্যাব পাইবার অধিকার প্রতিপন্ন করিতে যথেষ্ট চেষ্টা করিলেন; গুরুদাসের পিতামহী নিতান্ত কাতরা হইয়া বালকের আবার পূরণের জন্য বধুমাতাকে বলিলেন। “দাও না, ঘরে আছে। দাও,-যখন না থাকিবে তখন না দিও।” বধুমাতা শ্বাশুড়ী ঠাকুরাণীকে অতি মিষ্টভাবে সসম্মানে বলিলেন, “এই বায়নার উপর অবটি দিলেই দিন দিন ভয়ানক আৰু বারে হয়ে উঠবে। তখন কোথায় পাব? আজি দিব না, কাল দিব, না হয় বিকালে,