Subፖ डोदन शूडि। বলিলেন। প্যারীচরণ যদি ঐ দুর্দান্ত বয়স্থ বালককে অধিকক্ষণ দাঁড় করাইয়া রাখিতেন, তাহা হইলে তাহার আত্মসম্মান জ্ঞান ক্ষুন্ন হইয়া তাহার স্থানে বিদ্রোহীভাবের আবির্ভাব হইত। এক সঙ্গে ছাত্রের ঔদ্ধত্য দমন ও শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করিয়া প্যারীচরণ সকলের শ্রদ্ধাভাজন হইলেন। প্যারীচরণের অন্তঃকরণে বিলাস, অহঙ্কার ও হুজুগ-প্রিয়তার কণামাত্রও ছিল না। উচ্চ বেতন ও পুস্তক-বিক্রয়-লব্ধ অর্থ সত্ত্বেও তিনি কখনও গাড়ি ঘোড়া করেন নাই; ছাতাটি হাতে করিয়া, চাপিকান অ্যাটিয়া, প্রতিদিন বাটী হইতে কর্ম্মস্থলে যাতায়াত করিতেন। বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্রেও তঁাহার বুৎপত্তি ছিল। বৈজ্ঞানিক সার জন হাৰ্শেলের একখানি পুস্তক তিনি চমৎকার পড়াইয়াছিলেন। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য তিনি মাঝে মাঝে মেডিকাল কলেজে যাইতেন। তথাকার অধ্যাপক ডাক্তার ওসাগনেসির ( O” Shaughinosy) সহিত তাহার সৌহার্দ ছিল। উক্ত চিকিৎসক সম্বন্ধে সার গুরুদাস এক মজার গল্প বলেন। ক্ষিপ্ত কুকুর দষ্ট একজন লোক চিকিৎসার্থ মেডিকাল কলেজে আসে। একটা ঘরে ভুরি পরিমাণে গাঁজার ধোঁয়া জমাইয়া, ডাক্তার ওসাগনেসি ঐ রোগীকে অনেকক্ষণ ধরিয়া তন্মধ্যে রাখেন। ইহাতেই তাহার প্রাণরক্ষা হয়। গঞ্জিকার মাহাক্স্যেই বোধ হয় কৈলাসপতি বিষপান করিয়াও নীলকণ্ঠ হইয়া অমর হইয়াছেন! ১৮৫৯ সালে, মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে অর্থাৎ দুইবার এণ্টান্স পরীক্ষা হয়। মার্চ মাসের পরীক্ষায় গোয়াবাগান নিবাসী, হাইকোর্টের উকিল, শ্রীযুক্ত অমরনাথ বসু প্রথম হন। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা দেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এণ্টান্স পরীক্ষা টাউনহলে বসিত। পরীক্ষার অল্পদিন পুর্বে সার গুরুদাসের ম্যালেরিয়া হয়। তাহার বাটীর