ه/وه প্রসঙ্গক্রমে নিজের কথা বলিতে হয় বলিয়া জীবনস্মৃতি বিবৃত করিতে করিতে যিনি বন্ধ করিয়াছিলেন, যথাসাধ্য লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকাই যাহার জীবনের অভ্যাস ছিল, মহাপ্রস্থানের সময় পর্য্যন্ত র্যাহার। ইচ্ছা ও উপদেশ এই ছিল যে “যেমন চুপি চুপি পৃথিবীতে আসিয়াছিলাম সেইরূপ চুপি চুপি যেন চলিয়া যাইতে পারি।” এবং সেই ইচ্ছার অনুসারে ভগবৎ কৃপায় অমাবস্যার নিশীথ রাত্রে যাহার দেহত্যাগ হইয়াছিল তাহার কথা সংগ্রহ করিয়া, তাহার উদ্দেশ্যে নিবেদন করিয়া, তাহার পুণ্যস্মৃতিজড়িত, তাহার জন্মস্থান নারিকেলডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠিত, তঁহার পবিত্র নামে উৎসর্গীকৃত নারিকেলডাঙ্গা সার গুরুদাস ইনষ্টিটিউটের সভ্যগণের কর কমলে অৰ্পণ করিলাম। এই পুস্তক উল্লিখিত ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি হইল। মুদ্রণ ও প্রকাশকের ব্যয় নির্বাহ করিয়া যাহা কিছু উদ্ধৃত্তি হইবে তাহা ইনষ্টিটিউটের কর্তৃপক্ষগণ যেরূপ বিবেচনা করিবেন। সেইরূপ ব্যয় করিবেন। যে সকল প্রতিষ্ঠানের কথা এই পুস্তকে লিখিত হইয়াছে তাহার মধ্যে কলিকাতা ইউনিভারসিটি ইনষ্টিটিউট, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ এবং নারিকেলডাঙ্গা ইনষ্টিটিউটকে পিতৃদেব বিশেষ মেহের চক্ষে দেখিতেন। এই প্রতিষ্ঠান কয়টির বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে নিজের অভিপ্রায় ব্যক্তি করিবার জন্য যে গান রচনা করিয়াছিলেন তাহা উদ্ধৃত করিয়া এই ভূমিকা শেষ করিলাম। नांकिagांच ১৪ই মাঘ ১৩৩৩॥ শ্রীউপেন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ভুলনা আনন্দময়ে আজি এ আনন্দ দিনে, সুখেস্থৈর্য্য দুঃখে ধৈর্য্য কে দিবে। আর তিনি বিনে। সুখ দুঃখে, দুঃখ সুখে, বিজড়িত মর্ত্ত্য লোকে সুখ দুঃখ অমিশ্রিত, নাহি হেথা কোন খানে। সুখ দুঃখ সম হেরি, ঈর্ষা দ্বেষ পরিহরি, লোক হিতে হও রত, যথা শক্তি যথা জ্ঞানে।