ভাগবত—রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী। byసి) পর্ব্বত-পাথরে বান্ধে শতেক যোজন। কটক লইএ পার হৈল নারায়ণ॥ সবংশে রাবণে রাম করিল সংহার। দেশেতে আনিল সীতা করিয়া উদ্ধার॥ আর যত কর্ম্ম কৈল রাম-অবতারে। কতেক কহিএ আমি বুঝাব তোমারে। সেই প্রভু নারায়ণ সংসারের সার। তারে অল্পজ্ঞান কর কুবুদ্ধি তোমার॥ পূর্ব্বে সেই নারায়ণ ক্ষীরোদ-সাগরে। নিদ্রায় আছেন প্রভু যোগ-অনুসারে॥ ব্রহ্মার কর্ণ-মল হৈতে এক হইল বাহির। তাহে মধুকৈটভ জন্মিল দুই বীর। মধু-কৈটভ-শাসন। প্রকাও শরীর সেই মহাবল ধরে। সম্মুখে দেখিয়া যায় ব্রহ্মা মারিবারে। পলাইয়া যায় ব্রহ্মা অস্থর দেখিয়া। বিষ্ণু-নাভি-কমলেতে প্রবেশিল গিয়া॥ নিদ্রারূপে ভগবতী জগত-জননী। আজ্ঞা দিয়া মোহিত করিল চক্রপাণি॥ প্রজাপতির কাতর শরণে নারায়ণ। জানিলেন মহাপ্রভু জগত-কারণ॥ দেখিয়া অসুর চাহে ব্রহ্মা মারিবারে। মহাক্রোধ হয়্যা প্রভু বধিল তাহারে॥ তার সম অঙ্গুরেতে বলবন্ত নাই। লীলায় মারিল প্রভু জগত-গোসাঞি॥ সেই প্রভু নারায়ণ জগত-কারণ। কৃষ্ণরূপে অবতার হইল এখন॥ মহাবলবান কংস-রাজা মথুরাতে। বকাসুর অবাস্থর পুতনা সহিতে॥ তৃণাবর্ত্ত কংসাস্কর প্রলম্বাদি করি। বালককালেতে হরি সকল সংহারি॥ উরু ভাঙ্গি মারিল নৃপতি কংসামুরে। করেছিল দৰ্প সেই গেল যম-ঘরে॥ ক্লক। – ー ੋ
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০২১
অবয়ব