বন্দন। হাড়িপর পাটিকা নগরে আগমন। দুল্লভ-মল্লিক-কৃত রাজা গোবিন্দচন্দ্রের গান। পরবর্তী কালের মার্জিত সংস্করণ। ] একাদশ শতাব্দীর একটি অতি প্রাচীন গাথা ভাঙ্গিয়া দুৰ্ল্লভ মল্লিকনামক কবি এই কবিতা প্রণয়ন করিয়াছেন। ইহাতে সেই প্রাচীন কবিতার অনেক ভাব সংরক্ষিত, এই জন্ত আমরা এই অধ্যায়ে ইহা সন্নিবিষ্ট করিলাম। এই গানে স্পষ্টই দেখা যায় বাঙ্গলার পল্লী-গাথার উপর সংস্কৃত প্রভাব পড়িয়াছে। এই গান সাহিত্য-পরিষৎ হইতে শ্রীযুক্ত শিবচন্দ্র শল মহাশয় সম্পাদিত ও প্রকাশিত করিয়াছেন। প্রথমে বন্দিলাম ধর্ম্ম আদ্যের গোসাঞি। যার অগোচরে কিছু ত্রিভুবনে নাঞি॥ দেব গুরু বিষ্ণু বন্দ বেদ ব্রহ্ম মুনি। জ্ঞান গুরু শিব বন্দো ত্রিজগতে জানি॥ দয়ার গুরু ভগবতী বন্দো আদ্য দেবী। সরস্বতী দেবী বন্দে যাহা হইতে কবি ৷ হাড়িপা কালুপ বন্দিলাম জ্ঞানবিন্দ (১)। গুহারাজ বন্দো আর রাজা গোবিন্দচন্দ॥ স্বরপুরে ইন্দ্র বন্দো যত দেবগণ। দেবদেবী চরণে আমার নিবেদন॥ জন্মদাতা পিতা মাতা জঠর-ধারিণী। দীক্ষা গুরু বন্দিলাম লোটায়্যা ধরণী॥ পাতালে বাসুকি বন্দো চন্দ্র স্বর্য্য আদি। গ্রহ তার বসুন্ধর বন্দো নদ নদী॥ মহাবিদ্যা মহাজ্ঞান দিয়াছেন কগণে। ফুল্লভ মল্লিকে কহে শ্রীগুরুচরণে॥ যোগসিদ্ধা হাড়িপা কালুপী গোক্ষ মীন। (২) সাত সিদ্ধা অবতার গৃহবাস হীন॥ ধর্ম্ম অবতার হইল সিদ্ধা সাতজন। গুরু শাপে হাড়িপা যান পাটিকা ভুবন॥ (১) জ্ঞানীবৃন্দ। T (২) হাড়িপা, কালুপ, গোরক্ষমাথ, মীননাথ ইহার বৌদ্ধ যোগী।