૨8૭ চাদ সদাগরের নৌক৷ ডুবাইবার জন্ত, বায়ু, নদ, নদী ও মেঘগণের সজ্জা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। মাট ভর ভরিয়া সে ডিঙ্গা শঙ্খচূড়। যতেক শঙ্খের ভর ভর ভরপুর॥ উপরে চামর তোল মুখে তোল পাটে। সফরিয়া (১) যত বস্ত্র আর যত ঠাটে॥ ডিঙ্গা-ডুবি। ংসারের নদনদী আইল শীঘ্রগতি। দেখি হরষিত অতি হৈল পদ্মাবতী॥ নানা রঙ্গে নদী আসে কালিদহে মিলে। একত্র হইল যেন প্রলয়ের কালে ৷ কোনও নদীর জল ফটকের জ্যোতি। কাল রাঙ্গা নীল কত মেঘের আকৃতি। তোল পাড় করিছে কোনও নদীর পাকে। মেঘের গৰ্জ্জন হেন কোন নদী ডাকে॥ কেহর ঘুরণা-পাকে পাথর ভাসায়। সমুদ্র মন্থনে যেন পর্ব্বত ফিরায়॥ যতেক আছিল জল হৈল দশগুণ। ভাসায় গাছ পাথর ঢেউয়ে নিদারুণ ৷ অদ্ভূত জলের ঠাট দেখি আচম্বিত। জীবনে নিরাশ লোক হৈল চমকিত॥ উনপঞ্চাশ বায়ু সঙ্গে বায়ু রাজে। চৌষটি মেঘ লৈয়া চারি মেঘ সাজে॥ দশ মেঘ সনে পূর্ব্বে সাজিল আবর্ত্ত। ষোল মেঘ সনে সাজে পশ্চিমে সম্বর্ত॥ সাজে দ্রোণ উত্তরে আঠার মেঘ সনে। কুড়ি মেঘ সনে সাজে পুষ্কর দক্ষিণে॥ আবর্ত্ত সম্বর্ত্ত আর দ্রোণ পুষ্কর। চারি দিকে চারি মেঘ সাজিল দুষ্কর॥ চৌদিগে মেঘের সাজ ঘোর অন্ধকার। ঘন ঘন বজ্রাঘাত বিজলী সঞ্চার॥ মুসল প্রমাণ ফোট ঘন বরিষণ। শিলা বৃষ্টি বাকে বীকে হয় ঘনঘন॥ (১) বাণিজ্য-সংক্রান্ত।