চণ্ডীকাব্য—মাধবাচার্য্য—১৫৭৯ খৃষ্টাব্দ। OAL মঞ্জর মঞ্জীর করে চরণে শোভন। রুণু ঝন্থ রুণু ঝনু হোতেছে বাদন॥ বাছিয়া পড়িল ধনী দিব্য পট্টচেলী। সাজিল যেমন এক সোণার পুতলি ৷ অকারণে কামদেব কামবাণ ধরে। ইহা নিয়া ত্রিভুবন জিনিবারে পারে। চরণে নুপূৰ্ব শোভে মধুর ভাষিত। খঞ্জন গমনে ধনী চলিলা ত্বরিত॥ বহুবিধ আভরণে করি অঙ্গ-হাস। বিদায় হইতে গেল সতিনীর পাশ॥ লহনায়ে বলে দুবা সাজিয়া বিশেষ। কোথাকারে যায় বেটী করি এত বেশ॥ দুবলায়ে বলে শুন লহন ঠাকুরাণী। বাসরে (১) যাইবে আজি খুলনা বাণানী। যেন মাত্র কৈল দুবা বচন প্রকাশ। লহনার মুণ্ডে যেন পড়িল আকাশ। খুল্লনার বারমাসী। খুলনায় বলে প্রভূ যদি দেও মন। বার মাসের যত দুঃখ করি নিবেদন॥ বার মাসের যত দুঃখ খুলনা পাই বনে। কহিতে সে সব কথা পাজর বিন্ধে ঘুণে॥ মাধবীতে জনমে মোর কষ্টের অঙ্কুর। সতিনীর হাতে লাঘব করাইল প্রচুর। কাড়িয়া লইল সতী অঙ্গের আভরণ। পরিবারে দিল মোরে ভগন (২) বসন॥ জ্যৈষ্ঠ মাসেতে প্রভু শুন মোর দুঃখ। কহিতে সে সব কথা বিদরয়ে বুক॥ প্রচণ্ড রবির তাপে দহে কলেবরে। ললাটের ঘর্ম্ম মোর পদতলে পড়ে ৷ আষাঢ়ে রবির রথ চলে মন্দগতি। ক্ষুধায়ে আকুল হয়্যা লোটাই আমি ক্ষিতি॥ (১) স্বামী-গৃহে। (২) ছিন্ন।