ধর্ম্মরাজের গীত–নরসিংহ বস্থ–১৭৩৭ খৃষ্টাব্দ। ঢাক ঢোল কাসী ঘণ্টা বাজে দুর দুর। শঙ্খধ্বনি জয়ধ্বনি শুনিতে মধুর। কালিন্দী প্রখর স্রোত ভাটী যেন না। বাদওয়ালা বান্ধ্যা দিল পীঠে বহে বা॥ হরি বল্য তরী বায় যত নায়্যাগণ। সন্ধ্যাপুরে ধর্ম্মরাজ করিলা দর্শন। তরণী ছুটিল যেন খস্তা পড়ে তারা। বাহিল দারুকেশ্বর বহে দুই ধারা। বাম দিকে পিরের মোকাম দরশন। তার আগু কত দূর শিঙ্গাবেতার বন॥ দেখিল উসংপুরে ধর্ম্মের দেহরা। স্নান পূজা অর্য্যদান তথা কৈল সারা॥ তমোলক দক্ষিণে সমুখে সোনজড়া। রাতারাতি পার হৈল ফিরিঙ্গীর (১) পাড়া॥ হিজলী দক্ষিণে রহে হোগলের বন। বন্তজন্তু পাড়ে কত গণ্ডক বারণ॥ জলের উপর ভাসে কুম্ভীর হত্যাল। জুয়ারের জল উভে উঠে সাত তাল॥ পর্ব্বত সমান ঢেউ দেখ্যা লাগে ডর। ভকত (২) বলেন রক্ষ্যা কর মায়াধর॥ ঘন ঘন তোড় পড়ে ঘন ঝড় ঝাট। নিমিষে তরণী বায় সওয়া ক্রোশ বাট ৷ কপিলা আশ্রমে নৌকা হল্য উপনীত। সাগর সঙ্গম সেন পারল্য ত্বরিত॥ সগরের বংশ যথা মল্য ব্রহ্মশাপে। ভগীরথ গঙ্গা আন্তে মুক্ত কৈল শাপে ৷ দক্ষিণে রাখিয়া যান চাপাই ভুবন। দূরে হৈতে দেউল করিল দরশন॥ তার পর তরণী পড়িল কাল নীরে। ঘুর জলে নৌকা পড়া চাক পারা ফিরে। (১) পর্তুগিজ। (২) ভক্ত। 8&S
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫৯৫
অবয়ব