(రీ: অঙ্গদের উপদেশ ও গঞ্জন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। বুঝিলাঙ সে সব কথা কিছু মনে নয়। শ্রীরামের হাতে তোর মরণ নিশ্চয়॥ কুম্ভকর্ণ ভাই তোর বীর যাকে বলিস। রামধনুকে বাণ যুড়িলে কি হয় তা দেখিস॥ সে সব ফুরাঞ গেল দিন দুই তিন আর। শুনরে জানকী-নাথের ধনুকের টঙ্কার॥ আর জর্জর হএগছেন রাম জানকীর শোকে। স্ব-হস্তে ব্রহ্ম-অস্ত্রে বধ করিবেন তোকে॥ আর লক্ষ্মণকে কয় গেল ইন্দ্রজিত-বধ। আমরা সবাই আছি এই ঠাকুর সকল। যে থাকে বাসন রাজা এই বেলা তা কর। রাজ-আভরণ রাজা সর্ব্বাঙ্গেতে পর॥ তোমার এসব সুখ ভুঞ্জিবেক কে। ভাণ্ডার ভাঙ্গিয়া রাজা ব্রাহ্মণকে দে॥ ইসব পদাতি রথ বৃথারে রাবণ। নয়ন মুদিলে হবেক সব অকারণ॥ স্বপ্ন-গত জন যেন নিধি পাইলেক হাতে। আখি কচালিঞা উঠে রজনী-প্রভাতে ৷ সেই বিভব সব তোরে হল্য সেই মত। আপনি থাকিঞা কর আপনার পথ॥ স্ত্রী সকলকে ডাকাইঞা আন জানাঞা রাখ কথা। কে রইবেক কে তোর সঙ্গে হবেক অনুমৃত॥ আপনি কুঠার মাল্যি আপনার পায়। অহঙ্কারের ভাবেতে গা ডুবালি দরিয়ায়। কার্ত্তবীর্য্য অর্জুন তোরে তৃণ করাল্য দাতে। তার দর্প চূর্ণ হৈল পরশুরামের হাতে॥ ক্ষেত্রী মারা নিক্ষেত্রী কৈল না থুইল নাম। শমন দমন মাল্যা বীর পরশুরাম॥ পরশুরাম পরাভব শ্রীরামের ঠাঞি। তাহার সহিতে কক্ষ আর রক্ষা নাই॥ যে বধিলেক তাড়কা পাঁচ বছরের কালে। ভাঙ্গিলেক হরের ধনুক নিজ-বাহু-বলে। সপ্ততাল ভেদ করিল র্যার বাণ। র্যায় বাণে বালি রাজা না ধরিল টাম॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৫৬
অবয়ব